AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda School: ঘুমন্ত অবস্থায় ছাত্রীর চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ, ধামাচাপা দিতে পার্লারে নিয়ে গেলেন শিক্ষিকা!

Malda School: ছাত্রীকে চকোলেট দিয়ে পার্লারে নিয়ে গিয়ে চুল নতুন করে কেটে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Malda School: ঘুমন্ত অবস্থায় ছাত্রীর চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ, ধামাচাপা দিতে পার্লারে নিয়ে গেলেন শিক্ষিকা!
কেটে নেওয়া হয়েছে ছাত্রীর চুল (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 12:07 PM
Share

মালদহ: প্রতিদিনের মতো স্কুলের হস্টেলের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, ঘুম থেকে উঠেই চমকে ওঠে। হস্টেলের ঘরে পড়ে রয়েছে চুল। মাথায় হাত দিয়ে বুঝতে পারে বেমানানভাবে কেউ তার চুল কেটে নিয়েছে। মাথার মাঝখান থেকেও চুল কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর। ঘর থেকে বেরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্যর বা ম্যাডামদের জানালে তাঁরাও বিষয়টা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ছাত্রীর। এমনকী পার্লারে নিয়ে গিয়ে তার চুল ভালভাবে কাটিয়ে আনেন এক শিক্ষিকা! স্কুলের হস্টেলের ভিতরে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে কাঁপছে কিশোরী। মালদহের ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ইংরেজবাজারের লক্ষীপুরে ভয়েস পাবলিক স্কুল নামে একটি বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ঘটনা। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু ছাত্রী বারবার অনুরোধ করায়, কান্নাকাটি করায় বাড়িতে জানানোর ব্যবস্থা হয়। খবর পেয়েই স্কুলে ছুটে যান তাঁর বাবা ও মা।

অভিযোগ, ছাত্রীকে চকোলেট দিয়ে পার্লারে নিয়ে গিয়ে চুল নতুন করে কেটে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীকে বাড়িতে জানাতেও বারণ করা হয় বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু ওই ছাত্রী ভয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই অভিভাবকদের জানায়। ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই তাঁদের ১০ বছরের মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিল স্কুলেরই এক ছাত্রী ও তার কয়েকজন সঙ্গী। ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘স্কুলের মধ্যে কাঁচি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হল কেন? আরও বড় কোনও ক্ষতিও হতে পারত।’ ওই ছাত্রীর দাবি, স্কুলের একটি বিষয় নিয়েই তার ওপর রাগ হয়েছিল এক সহপাঠীর। সেই এই কাজ করেছে বলে সন্দেহ তার।

হস্টেল সুপার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। এমনকী পার্লারে নিয়ে গিয়ে যে গোপনে সেই ছাত্রীর চুল ঠিক করার চেষ্টা হয়েছিল, সেই অভিযোগও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। স্কুলের মধ্যে এমন একটি ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্যান্য পড়ুয়াদের মধ্যেও।