AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কাটমানি-তে ‘না’, দেড় বছর ধরে ঘরই পেলেন না বারেক আলি!

Corruption: মহানন্দপুরের হারিয়ান গ্রামের বাসিন্দা বারেক আলির অভিযোগ, বছরখানেক আগে তাঁর সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় নাম আসে। সেই তালিকা দেখেই তিনি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা রূপসানা খাতুনের কাছে যান।

কাটমানি-তে 'না', দেড় বছর ধরে ঘরই পেলেন না বারেক আলি!
অভিযোগকারী বারেক আলি, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2021 | 6:01 PM
Share

মালদা: ফের সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি। সরকারি আবাস যোজনার ঘর তৈরিতে ১০ হাজার টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন এক গ্রামবাসী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচোলের ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

মহানন্দপুরের হারিয়ান গ্রামের বাসিন্দা বারেক আলির অভিযোগ, বছরখানেক আগে তাঁর সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় নাম আসে। সেই তালিকা দেখেই তিনি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা রূপসানা খাতুনের কাছে যান। কিন্তু, অভিযোগ রূপসানা তাঁর থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু দিনমজুর বারেক সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। টাকা না দিলে কাজ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। এমনকী বারবার পঞ্চায়েতের দফতরে  ঘোরাঘুরি করে শেষে যোজনার টাকা পাননি তিনি। তবে, আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ টাকা অন্য় একজনের একাউন্টে ঢুকেছে। এরপরই ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

ভুক্তভোগী বারেক আলির কথায়, “আমি সামান্য দিনমজুর। আমার পেটের খাবার জোটে না। তারমধ্যে আমার থেকে ওই তৃণমূল নেত্রী টাকা চায়। আমি  বলেছি, আমি টাকা দিতে পারব না। প্রায় দেড়বছর হল। টাকা পেলাম না। অন্য় কারোর একাউন্টে সেই টাকা ঢুকেছে। আমার বাড়িঘর ভাঙাচোরা। একটা ঘরে পরিবার নিয়ে থাকি। কাটমানি দিতে পারিনি বলে টাকা ঢোকেনি। দুটো চিঠি দিয়েও কোনও উত্তর পাইনি। আমি চাই আমার প্রাপ্য় টাকা যেন পেয়ে যাই।”

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা রুপসানা খাতুন। অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার কথায়, “টাকা চাওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই ব্যক্তি যাতে ঘরের টাকা পান তারজন্য আমি নিজে বিডিও থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের দুয়ারে দুয়ারে গিয়েছি। ওই ব্যক্তি যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” এই ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। চাঁচোলের ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের কোনও কর্মী বা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলে দল তাঁর পাশে থাকবে না। প্রশাসন যা পদক্ষেপ করার করবে। কোনও ক্ষেত্রেই এই অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না।”

এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির মালদা জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সুমিত সরকার বলেন, “তৃণমূলের কাটমানি খাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। কাটমানি শব্দটির সঙ্গে তৃণমূল ভালভাবে পরিচিত। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তৃণমূলকে কাটমানি না দিলে কাজ হয়না। ঘটনায়, চাঁচোলের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত অভিযোগকারী যাতে তাঁর প্রাপ্য ফিরে পান তার ব্য়বস্থা করা হবে। আরও পড়ুন: Exclusive: ফের কি ফুল বদল? খবর শুনেই চটলেন চন্দনা