‘আমার চুলের মুঠি ধরে…’, ‘ভুল’ চিকিত্সা, আহত নার্স-চিকিত্সক!
Murshidabad Medical College: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, প্যাথলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এক রোগী। প্রথম থেকেই তাঁর অবস্থা বিশেষ ভাল ছিল না। পঞ্চাশোর্ধ্ব সেই বৃদ্ধার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে শুরু করে।
মুর্শিদাবাদ: কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের রক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ (Murshidabad Medical College) হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। সন্ধে আটটা নাগাদ জুনিয়র ডাক্তার দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য যখন রাউন্ডে ছিলেন সেই সময় রোগীর পরিবার তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মোট চারজন আহত হয়।
হাসপাতাল (Murshidabad Medical College) কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, প্যাথলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এক রোগী। প্রথম থেকেই তাঁর অবস্থা বিশেষ ভাল ছিল না। পঞ্চাশোর্ধ্ব সেই বৃদ্ধার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে শুরু করে। অভিযোগ, রোগীর পরিবারকে আগেই জানানো হয়েছিল এমনকী লিখিতও নেওয়া হয়েছিল যে রোগীর মৃত্যু হতে পারে, সেক্ষেত্রে পরিবার যেন পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। এরমধ্যেই ওই রোগীর চিকিত্সার জন্য তাঁকে ফিমেল মেডিসিন বিভাগে নিয়ে আসা হয়। শনিবার রাতে, চিকিত্সক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য যখন ওই রোগীকে পরীক্ষা করতে যান, সেইসময়ে আচমকা রোগীর পরিজনেরা আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। চিকিত্সক-সহ নার্স ও নিরাপত্তারক্ষীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত এক নার্সের কথায়, “আমরা রোগীর আর ডাক্তারের চিত্কার শুনে ছুটে যাই। দেখি, ডাক্তারবাবুকে ধরে মারছে। সেইসময় আমি বাধা দিতে যাই। আমাকে রোগী উঠে এসে চুলের মুঠি ধরে টেনে ধরে। তারপর, রোগীর বাড়ির এক মহিলা এসে সামনে থেকে গলা টিপে ধরে। আমাদের অন্য কর্মীদেরও মারধর করেছে।” পাল্টা রোগীর পরিবারের অভিযোগ, সঠিক সময়ে সঠিকভাবে রোগীর চিকিত্সা হয়নি। চিকিত্সার গাফিলতির জেরেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, “আমরা প্রথমেই জানিয়েছিলাম ওই রোগীর বাঁচা মুশকিল। সেইমতো পরিবারের তরফ থেকে লিখিত দিতে বলা হয়েছিল। ওঁরা লিখিতই দিয়েছিলেন। আমাদের ডাক্তার যখন রোগীকে পরীক্ষা করতে যায় তখনই হামলা চালানো হয়। কেন মারধর হামলা করা হল আমরা জানি না। করোনার মতো কঠিন সময়ে আমাদের চিকিত্সকেরা এত যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে ডাক্তারদের মনোবল ভেঙে যায়। সকলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করি। যদিও, ঘটনায় বহরমপুর থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ”
বহরমপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ মোতাবেক ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মোট ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোগীর পরিবার ছাড়াও হাসপাতালের কর্মীদের বয়ান নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, হাসপাতালের কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও পড়ুন: ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মুর্শিদাবাদে উড়েছিল পাকিস্তানের পতাকা