ভোটের পর হবে দেশজুড়ে লকডাউন, দাবি অভিষেকের

“ভোটের পরই দেশজুড়ে হবে লকডাউন। ভোটের অপেক্ষায় বসে আছে কেন্দ্র। আগে যেনতেন প্রকারেণ বাংলা দখল করবে। তার পরই লকডাউন করবে ওরা।” বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)

ভোটের পর হবে দেশজুড়ে লকডাউন, দাবি অভিষেকের
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 20, 2021 | 4:46 PM

মুর্শিদাবাদ: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত। কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে লকডাউন। কয়েকটি জায়গায় চলছে নৈশ কার্ফু। তবে বাংলায় লকডাউনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই প্রেক্ষিতে সাংসদ তথা বকলমে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানালেন অন্য কথা। তাঁর দাবি. বাংলায় বিধানসভা ভোট (West Bengal Assembly Election 2021) ফুরোলেই ফের দেশজুড়ে লকডাউন (Corona Lockdown) জারি করবে মোদী সরকার।

মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের লালগোলায় নির্বাচনী সভা করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেই সভা থেকে মোদী সরকারকে একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধে, বাংলায় লকডাউন নিয়েও মানুষকে সতর্ক করতে শোনা যায় অভিষেককে। তাঁর কথায়, “ভোটের পরই দেশজুড়ে হবে লকডাউন। ভোটের অপেক্ষায় বসে আছে কেন্দ্র। আগে যেনতেন প্রকারেণ বাংলা দখল করবে। তার পরই লকডাউন করবে ওরা।”

টিকা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বাংলার কোভিড পরিস্থিতির জন্য তিনি দায়ী করেছেন ‘বহিরাগত’ বিজেপি নেতাদের। আর মঙ্গলবারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবারই অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মমতা সরকারকে একহাত নিয়েছেন শাহ। এদিকে অভিষেকের কথায়, “উনি (পড়ুন অমিত শাহ) ভোটের প্রচারে এসে বারবার বলছেন, রাজ্যে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটছে। কিন্তু সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? আন্তর্জাতিক সীমান্ত সামলান বিএসএফরা। তাঁরা তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন! তাহলে বেআইনি অনুপ্রবেশ হলে দোষ কার? এই ইস্যুতে তো আপনার ইস্তফা দেওয়া উচিত।”

এদিকে সামনেই মুর্শিদাবাদে বিধানসভা ভোট। এদিন অধীর গড়ে দাঁড়িয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেও কটাক্ষ করলেন অভিষেক। তাঁর দাবি বিজেপির সাগরেদ হল কংগ্রেস। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতাকে বিঁধে তাঁর মন্তব্য, “গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা। সরষের তেলের দাম বাড়ছে। প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া। একবারও সংসদে দাঁড়িয়ে এগুলোর প্রতিবাদ করেননি অধীর চৌধুরী। কারণ, কংগ্রেস বিজেপির সবচেয়ে বড় সাগরেদ। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্তিশালি করা”

আরও পড়ুন: মুখে মাস্ক নেই? শাস্তি হিসাবে দাঁড়াতে হবে চড়া রোদে

তার পর বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেকের মন্তব্য, বিজেপি কেবল ভাষণ দেয়। ওরা পরিযায়ী। ভোটের সময় আসে। আলার চলে যাবে। কিন্তু সারা বছর বিপদে-আপদে মানুষের পাশে থাকবে তৃণমূল।