গয়েশপুর: বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের প্রচার মিছিলে হামলার অভিযোগ। বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কল্যাণী থানার গয়েশপুরে ব্যাপক উত্তেজনা। মাইক বন্ধ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পদ্ম কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক বচসা হয়। অভিযুক্তকে ধরতে ছুটে যান বিজেপির কর্মীরা। মাঝে পড়ে যায় পুলিশ। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে ওই এলাকা দিয়ে শান্তনু ঠাকুরের ভোট প্রচারের একটি মিছিল যাচ্ছিল। গাড়িতে মাইক লাগিয়ে চলছিল প্রচার। এদিকে ওই এলাকাতেই তৃণমূলের একটি কর্মী সভা চলছিল। অভিযোগ, ওই প্রচার সভা থেকেই বেশ কিছু তৃণমূলের কর্মী সমর্থক এসে বিজেপির লোকজনকে মাইক বন্ধ করতে বলেন। মাইক বন্ধ না করলে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনা দেখে ছুটে আসেন অন্য বিজেপি সমর্থকেরা। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তেই তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুই দলের কর্মীদের মধ্যে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের সামনেও দফায় দফায় উত্তেজনা ছাড়ায়। ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ওদের মাইকটা বন্ধ করতে বলেছিলাম। কিন্তু করেনি। আমি বলেছি আমাদের মিছিলটা যাচ্ছে তাই একটু পরে চালাও। তাও বন্ধ করেনি। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর বলেন, তৃণমূলের হার্মাদরা ভয় পেয়েছে। ওরা জানে ওদের পায়ের তলার মাটি নেই গয়েশপুরে। সে কারণে ওরা মিছিলের উপর হামলা করছে। ওদের হামলার জবাব দেবে সাধারণ মানুষ।