Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘নীতি-চাণক্য’! নদিয়ায় ‘ঝাঁকের কই’ ঘাসফুল জেরবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে

Post Poll Joining:'ঝাঁকের কইয়ের' মতো প্রায় ২১৫ জন কর্মী এদিন যোগদান করেন। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ও বিজেপি নেতা অরুপ রায় এদিন  বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।

'নীতি-চাণক্য'! নদিয়ায় 'ঝাঁকের কই' ঘাসফুল জেরবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 27, 2021 | 6:38 PM

নদিয়া: বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি পরিপক্ক কেবল নন, ‘চাণক্য’ নামেই বিশেষ পরিচিত। সংগঠন জোরদার করা হোক বা দলের কূটকৌশল নখদর্পণে তাঁর। তিনি মুকুল রায়। সম্প্রতি, বিজেপি শিবির ছেড়ে নিজের পুরনো ঘর তৃণমূলে ফিরেছেন তিনি। ‘আদিনেতার’ (Mukul Roy)  প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই ধীরে ধীরে ভাঙন শুরু হয়েছে পদ্মের। রবিবার, মুকুলের হাত ধরেই প্রায় একঝাঁক পদ্মকর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। আর এই যোগদান পর্বের পরেই শুরু হয়ে যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

বিধানসভা নির্বাচন আবহে একের পর এক তৃণমূল (TMC) নেতারা বেসুর বাজতে শুরু করেন। তার ফায়দা নিয়েছিল বিজেপি (BJP)। হিড়িক পড়েছিল যোগদানের। কোনওদিনও নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়া মুকুল রায়কে তাঁর ‘গড়’ কৃষ্ণনগরেই প্রার্থী করেছিল বিজেপি। রেকর্ড জয় পেয়ে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন মুকুল। আর তারপরেই জোরদার হয়ে ওঠে ‘চাণক্যের রণকৌশল’।

একদিকে যখন, ‘মুকুল ঘনিষ্ঠরা’ একে একে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন, তখন নিজের কেন্দ্রের প্রায় শতাধিক কর্মীকে তৃণমূলে ফেরালেন মুকুল। ‘ঝাঁকের কইয়ের’ মতো প্রায় ২১৫ জন কর্মী এদিন যোগদান করেন। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ও বিজেপি নেতা অরুপ রায় এদিন  বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ শতাধিক বিজেপি কর্মী মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। যদিও, মুকুল (Mukul Roy) জানান, এদিন মূলত কৃষ্ণনগরের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্য়েই তাঁর এই কর্মসূচি।

পাশাপাশি, মুকুল এও বলেন, “কৃষ্ণনগর যে আমার গড় তা আবার প্রমাণ হল। আজ যাঁরা যোগ দিয়েছেন সকলে পুরনো লোক। তাঁরা ফিরে এসেছেন। আমি খুশি।” পাল্টা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “মুকুল রায়কে যথেষ্ট যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। তিনি বিজেপির অল ইন্ডিয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। তিনি ব্যক্তিস্বার্থে বিশ্বাসী। বিজেপিতে ব্যক্তিস্বার্থের কোনও জায়গা নেই। তিনি চলে গিয়েছেন বা তাঁকে ধরে আরও অনেকে গিয়েছেন তার মানে এই নয়, বিজেপিতে ধস নামবে। মুকুল রায়কে ছাড়াও বিজেপি ছিল, আছে, থাকবে।”

এদিকে, তৃণমূলের যোগদান পর্বের পরেই শুরু হয়ে যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মকুল রায়কে কে সংবর্ধনা দেবেন তাই নিয়ে দলের মধ্যেই দুটি পক্ষে ভাগ হয়ে যায়। এমনকী, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এর পরেই দলের কিছু সদস্যকে নিয়ে বেসুর বাজতে শুরু করেন তৃণমূলেরই অন্য নেতারা। দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপি থেকে আসা নতুন কর্মীদের যোগদান বিশেষ মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল কর্মীরা। যদিও, তৃণমূল শিবিরে এইভাবে যোগদান অন্তর্বিরোধের অশনি সংকেত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: ‘সিট গঠন করাটা আইওয়াশ, কেন কেঁচো খুড়তে সাপ বের করছেন!’, ফিরহাদকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর