SIR in Bengal: ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই, বাড়ির বাইরে বেরতে ভয় পেতেন; নদিয়ায় আত্মঘাতী বৃদ্ধ
man commits suicide in Nadia: পরিবারের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে এসআইআর আতঙ্কে ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধ। বাড়ি থেকে বেরতেন না। প্রতিবেশীরা তাঁকে বোঝান। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক কাটছিল না তাঁর। ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ যেতে পারে। এবং ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হতে পারে, এই আশঙ্কায় ক্রমশ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

নদিয়া: ফের নদিয়ায় এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ। কালীনারায়ণপুরের পর এবার রানাঘাটে এক বৃদ্ধ আত্মঘাতী হলেন। মৃতের নাম সুশান্ত বিশ্বাস (৬০)। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তা নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন তিনি। সেই আতঙ্কেই নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।
সুশান্ত বিশ্বাসের বাড়ি রানাঘাটের ধানতলা থানার মাটিকুমড়া মধ্যপাড়ায়। কলকাতায় কাজ করতেন তিনি। পরিবারের বক্তব্য, রাজ্যে এসআইআর শুরুর পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন সুশান্ত বিশ্বাস। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় তিনি চিন্তিত ছিলেন। বাড়ির বাইরেও বেরতেন না। প্রতিবেশীরা তাঁকে বোঝান। তারপরও আতঙ্ক কাটছিল না। ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ যেতে পারে। এবং ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হতে পারে, এই আশঙ্কায় ক্রমশ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
এনুমারেশন ফর্মও পূরণ করেছিলেন সুশান্ত বিশ্বাস। তারপরও আতঙ্কে থাকতেন। মৃতের স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস বলেন, “সবসময় ভয়ে থাকতেন। কথাবার্তা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অনেক বুঝিয়েছি। তারপরও শুধু এসআইআরের কথা বলতেন। বলতেন, আমাকে জেলে নিয়ে গেলে ৬ বছরের জেল হবে। আমার শাশুড়ির নাম ২০০২ সালের তালিকায় নাম রয়েছে। আমরা বাইরে ছিলাম বলে নাম কাটা গিয়েছিল। আমায় বলত, জেলে নিয়ে গেলে জেলেই মরব। সকালে উঠে দেখি, গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন।”
প্রতিবেশীদের বক্তব্য, সুশান্তবাবুরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। তা সত্ত্বেও কেন তিনি এতটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
