AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Correctional Home: সংশোধনাগারে গিয়ে ছেলেকে দেখে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ, বিস্ফোরক অভিযোগ আড়িয়াদহের মৌসমের মায়ের

Correctional Home: যেদিন মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর ছেলেকে, সেদিনের ঘটনার কথাও তুলে ধরেন মুক্তা গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, "আমার ছেলে তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে ফিরছিল। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি থামিয়ে আমার ছেলেক তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মারধর করে। তারপর মাদক মামলা দেয়।"

Correctional Home: সংশোধনাগারে গিয়ে ছেলেকে দেখে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ, বিস্ফোরক অভিযোগ আড়িয়াদহের মৌসমের মায়ের
কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত যুবকের মা
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2025 | 6:14 AM
Share

দক্ষিণেশ্বর: মাদক মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন। সোমবার বন্দি ওই যুবকের মা তাঁকে দেখে গিয়েছেন। রাতেই অসুস্থ হয়ে যুবকের মৃত্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল পরিবার। মৃত যুবকের দেহের ময়নাতদন্তের দাবি করেছেন তাঁর মা। দমদম সেন্ট্রাল জেলের বিরুদ্ধে দক্ষিণেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করল পরিবার।

মৃত যুবকের নাম মৌসম চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি আড়িয়াদহে। গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দক্ষিণেশ্বর থানা। প্রথমে ব্যারাকপুর এবং সেখান থেকে দমদম সংশোধনাগারে গত কয়েকমাস বন্দি ছিলেন মৌসম। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মৌসম। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথেই মৃত্যু হয়।

ছেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৌসমের মা মুক্তা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর ছেলেকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। দক্ষিণেশ্বর থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মুক্তা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার ছেলেকে থানা থেকে মাসোহারা দিত বলত। প্রথম প্রথম দিয়েছে। তারপর আর না দিতেই নানা মামলায় জড়িয়েছে। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলেই আমার ছেলের নাম জুড়ে দিয়েছে।” প্রোমোটিং ও জমি ব্যবসায় মৌসম জড়িত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

যেদিন মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর ছেলেকে, সেদিনের ঘটনার কথাও তুলে ধরেন মুক্তা গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “আমার ছেলে তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে ফিরছিল। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি থামিয়ে আমার ছেলেক তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মারধর করে। তারপর মাদক মামলা দেয়।” কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার দক্ষিণেশ্বর থানায় দমদম জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৌসমের পরিবার। এদিন তারা ছেলের মৃতদেহ সৎকার করেনি। মৃতদেহ না নিয়ে, মৌসমের পরিবার পুনরায় ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছে।