উত্তর ২৪ পরগনা: তিলোত্তমার জন্য বিচারের দাবিতে পথে নামল বিজেপি। শুক্রবার দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন থানার সামনে কর্মসূচি ছিল পদ্মশিবিরের। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানার সামনে কর্মসূচি ছিল তাদের। প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন অর্জুন সিং, কৌস্তভ বাগচীরা। থানার সামনে যান তাঁরা। পুলিশ মিছিল আটকালে ধস্তাধস্তি লেগে যায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে।
অর্জুন সিং বলেন, এটাও বড় ধরনের একটা স্ক্যাম। ধীরে ধীরে সবটা সামনে আসবে। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি এটা। কপিল সিব্বলের মতো আইনজীবী রয়েছেন। তারপর আরও ২০ জন নামানো হয়েছে। এরা আমাদের করের টাকা দিয়ে আমাদের মারছে। নিজেদের লোককে বাঁচাতে চাইছে।”
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, তাঁরা সবসময় নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে আছেন। রাজনীতির বাইরে থেকেই পাশে থাকবেন। তিনি বলেন, এর শেষ দেখতে হবে। চক্রান্ত করেছে যারা, তাদেরও জেলে পাঠাতে হবে। আর একটাও আরজি কর যেন না হয়, বলেন শুভেন্দু।
বৃহস্পতিবার সল্টলেক স্বাস্থ্যভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপির প্রথম সারির নেতারা যেমন তাতে পা মেলান। ছিলেন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থকও। এই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে। সেই কর্মসূচি থেকেই বিজেপি জানিয়েছিল, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও অভিযান হবে। সেইমতোই বিভিন্ন জেলায় এদিন থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি।