Arjun Singh: ‘চাওয়া-পাওয়া থাকতে পারে… বিজেপি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়,’ বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি অর্জুনের
Arjun Singh on WhatsApp Left incident: অর্জুন সিং অবশ্য জানাচ্ছেন, শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। খড়দহের এবং ব্যারাকপুরের পুরসভার বিজেপি প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
বারাকপুর: কাউকে কোনও পদ থেকে সরানো হল তো দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ‘লেফট’, কোনও নেতার সঙ্গে বনিবনা হল না তো তিনি ‘লেফট’! পান থেকে চুন খসলেই দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ছেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতা থেকে বিধায়করা। এ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন বারাকপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সহ- সভাপতি অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তাঁর কথায়, “চাওয়া-পাওয়া অনেকের থাকতে পারে, বিজেপি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়”।
রাজ্য বিজেপির দলীয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেড়িয়ে গিয়েছেন অনেকে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেই তার মধ্যে একজন শীলভদ্র দত্ত। যিনি একুশের ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েন। যদিও তিনি কেন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ। তবে দলে আছেন, দল ছাড়েননি, অন্তত এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। এদিকে অবহেলার অভিযোগ বিজেপির মতুয়া বিধায়করা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। এ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।
অর্জুনের বক্তব্য:
এই ‘বিদ্রোহ’ প্রসঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিং অবশ্য জানাচ্ছেন, শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। খড়দহের এবং ব্যারাকপুরের পুরসভার বিজেপি প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অর্জুন যোগ করেন, শীলভদ্র বিজেপি-তেই আছেন। আর হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়া প্রসঙ্গে অর্জুনের বক্তব্য, “অনেক হোয়টস অ্যাপ গ্রুপে তো আমি নেই। তাতে কী আছে!” তাঁর আরও সংযুক্তি, “মতুয়াদের তো মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে মাতুয়াদের মন্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন। চাওয়া – পাওয়া অনেকেরই থাকতে পারে। তবে বিজেপি দলটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়।”
হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে দিলীপের বক্তব্য:
দিলীপ ঘোষ অবশ্য় এই হোয়াটসঅ্যাগ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক নিয়ে চিন্তিত নন। তিনি বলেছেন, “গ্রুপ ছাড়াটা কোনও খবর হতে পারেনা। কত লোক প্রতিদিন কত গ্রুপে ঢুকেছে, কত গ্রুপ থেকে বেরচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “পার্টির ব্যাপারে সবাই একমত হবে না। পার্টির ব্যাপারে কারও কিছু বলার থাকলে সেটা ঠিক জায়গায় বলা উচিত… পার্টির ভিতরে।”
উল্লেখ্য, বিজেপির বিভিন্ন গ্রুপ থেকে এমপি, এমএলএ সহ বিভিন্ন নেতৃত্বের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে বেশ কিছুদিন ধরে। সেই সায়ন্তনকে দিয়ে শুরু। বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নতুন রাজ্য কমিটির তালিকা ঢোকা মাত্রই সায়ন্তন বসু সেই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদিও এ বিষয়ে সায়ন্তনের যুক্তি, “এটাই তো স্বাভাবিক। রাজ্য কমিটিতে না থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকাটা তো নৈতিক নয়। তাই ওই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছি।”