‘পুলিশ বলছে আমাদের বাঁচান, এই হাল বাংলার’, জগদ্দলে বোমাবাজির পর বললেন অর্জুন সিং
সোমবার সকালে জগদ্দলের (Jagaddal) বাজারে চলে বোমাবাজি। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।
ব্যারাকপুর: ভোট মিটেছে, কিন্তু এখনও শান্ত হয়নি ব্যারাকপুর এলাকা। জগদ্দল কিংবা ভাটপাড়ার মতো এলাকা গুলিতে মাঝে মধ্যেই শোনা যাচ্ছে বোমা বা গুলির শব্দ। সোমবার সকালেই ফের বোমাবাজি চলল জগদ্দলের বাজারে। জগদ্দল বাজারের ভিতরেই বোমা ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। আর সেই ঘটনার পর ফের একবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হলেন অর্জুন সি। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সামনেই এই ধরনের তাণ্ডব চলছে কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারছে না।
আজ সকালে জগদ্দল বাজারে বোমাবাজি চলে। সেই বোমাবাজি চলাকালীন খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কে বা কারা এই ধরনের বোমাবাজি করেছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি এলাকার ব্যবসায়ীরা। এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘ঘটনাস্থলে প্রা ১৫০ পুলিশ রয়েছে। আথচ কাউকে গ্রেফতার করতে পারছে না।’ তাঁর দাবি, পুলিশ এমন দাবিও করছে যে তাঁদের পক্ষে এই ‘জিহাদি’দের গ্রেফতার করা সম্ভব নয়, কারণ এদের ভোটে জিতেই ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার।
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চাইলেন তথাগত, ‘ডিএম’ করুন, পাল্টা লিখলেন রাজ্যের মন্ত্রী
পুলিশের চোখের সামনেই এ দিন বোমা ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, তাঁর বাড়ির কাছেই বাজারে লুঠপাট চালানো হয়েছে। অথচ সে ক্ষেত্রেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অর্জুন সিং উল্লেখ করেন, ‘তিন দিন আগে পালঘাট রোডে বাজারে লুঠপাট চালানো হয়, বোমাবাজি হয়।’ তিনি আরও বলেন, পালঘাটে ঘটনার দিন পুলিশ কেঁদে কেঁদে বলছে ‘আমাদের বাঁচান’, এমন ভিডিয়ো রয়েছে তাঁর কাছে। অর্জুনের কথায়, ‘পুলিশ কাঁদছে, বলছে আমাদের বাঁচান। এই হাল বাংলার।’ সরকারের নির্দেশেই পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে না বলেই অভিযোগ অর্জুনের।
কয়েক দিন আগে, গোলাগুলি চলে ভাটপাড়ায়। হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির অল ইন্ডিয়া মজদুর ইউনিয়নে রাজ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট লাল বাবু প্রসাদের বাড়িতে। তিনি ভাটপাড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে, পর পর তিন রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনাতেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং।