AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Electrocution: ২ দিনে ১০, নাতিকে ফ্যানের হাওয়া খাওয়াতে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দাদুর!

Death: বৃষ্টির জমা জলে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা।  খড়দহ, দমদম, আগরপাড়ার পর এবার জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল নদিয়ার নাকাশিপাড়া ও নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়।

Electrocution: ২ দিনে ১০, নাতিকে ফ্যানের হাওয়া খাওয়াতে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দাদুর!
বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (ফাইল চিত্র)
| Updated on: Sep 23, 2021 | 4:13 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া: বৃষ্টির জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরও দুই মৃত্যুর ঘটনা। খড়দহ, দমদম, আগরপাড়ার পর এবার জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল উত্তর পরগনা ও নদিয়ায়। হাবড়ায় ফ্যান চালাতে গিয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। অন্যদিকে নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় চাযের কাজে জমিতে গিয়ে তড়িতাহত হয়ে মারা গেলেন এক ব্যক্তি।

জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলা এলাকায় বছর ৫৫-এর সুজিত সাহা নামে এক ব্যক্তি বাড়ির স্ট্যান্ড ফ্যান চালানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সুজিত সাহা পেশায় সবজি বিক্রেতা। এদিন দুপুরে মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। নাতিকে স্ট্যান্ড ফ্যানের হাওয়া খাওয়াবেন বলে তার তারটি সুইচ বোর্ডে লাগাতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।  তাঁর মেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তড়িঘড়ি স্থানীয়রা ছুটে আসেন। সুজিতবাবুকে উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে নগরথুবা শিমুলতলা এলাকায়।

অন্যদিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এদিন মৃত্যু হল আতিয়ার শেখ নামে বছর ৪৮ এর এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে আজ নদিয়ার নাকাশিপাড়া বানগরিয়ায়। এদিন বাড়ি থেকে সকাল সকাল বেরিয়ে আতিয়ার গিয়েছিলেন জমিতে ধান কাটবার জন্য। সেখানে তড়িতাহত হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার কের বেথুয়াডহরী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

এদিন সকালেই বেলঘরিয়া টেক্সমেকো কারখানায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ওই কারখানারই শ্রমিক সোনা রায়। ৪০ বছর বয়সী সোনা রায় সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। জানা গিয়েছে, জমা জলের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ জোর করে শ্রমিকদের কাজ করাত। এমনটাই অভিযোগ করছেন মৃত শ্রমিকের সহকর্মী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। কারখানা কর্তৃপক্ষের জোর করে কাজ করানোর ফলে এই কারখানার ভেতরে জমে থাকা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বছর চল্লিশের শ্রমিকের।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হওয়া সোনাবাবুকে উদ্ধার করে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃসত বলে ঘোষণা করেন। এর পর মৃতের  সহকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। কারখানার উদাসীনতায় এই মৃত্যু বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কারখানার শ্রমিকরা।

উল্লেখ্য বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে। এলাকায় যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে বিদ্যুৎবাহী তার।প্রতিটি লাইট পোষ্টেই মাকড়শার জালের মতো করে ইলেকট্রিকের তার ঝুলছে। বিটি রোড থেকে ঘোষপাড়া রোড, ওল্ড ক্যালকাটা রোড থেকে শুরু করে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি রাস্তাতেই প্রতিটি লাইটপোস্টেরই একই অবস্থা। কোথাও খোলা লাইটের বক্স পড়ে রয়েছে। আবার কোথাও ঝুলছে বিদ্যুতের তার। উদাসীনতার অভিযোগ বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে।

এই জলবন্দি অবস্থার মধ্যে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়ি উঠে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। তাঁদের আশঙ্কা জমা জলে ইলেকট্রিক শকে বেঘোরে প্রাণ যেতে পারে যা কারও। এই প্রেক্ষিতে বেলঘরিয়ায় এক শ্রমিককের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়াল। শহর কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চল সহ জেলায় জেলায় একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল উঠছে প্রশাসনের দিকে।

আরও পড়ুন: South DumDum Electrocution: খাটের ওপর টেডি, প্লাস্টিকে দুই বন্ধুর ম্যাচিং পুজোর জামা! রইল না শুধু শ্রেয়া-অনুষ্কাই