Duttapukur: কুকুরটা চলতে চলতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল খালের ধারেই, একটা কাটা মুণ্ড-আতঙ্ক এখন তাড়া করে ফিরছে গোটা গ্রামে
Duttapukur: সোমবার দেহ উদ্ধারের পর, কাটা মুণ্ডর খোঁজে তদন্তকারীরা স্নিফার ডগ নিয়ে এসেছিলেন। সেই কুকুরই ক্ষেতের পাশে ওই খালের ধারে এসে দাঁড়িয়ে যায়। তদন্তকারীদের অনুমান, মুণ্ড কেটে ওই খালেই ফেলে দেওয়া হয়েছে।

দত্তপুকুর: ঝলসে যাওয়া একটা শরীর। উন্মুক্ত যৌনাঙ্গ। পাশে পড়েছিল চিপসের প্যাকেট আর মদের গ্লাস। সরস্বতী পুজোর সকালে দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ার মালিয়াকুর বাজিৎপুর এলাকায় ক্ষেতের মধ্যে থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু যুবকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। শিউরে ওঠার মতো ছিল সে দৃশ্য। যুবকের হাত-পা বাঁধা ছিল। দেহ কোনও দাহ্য পদার্থ বস্তু দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি, কারণ যুবকের মুণ্ডরই হদিশ মেলেনি এখন। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। সেই কাটা মুণ্ডর খোঁজে চলছে তল্লাশি। যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তার পাশেই রয়েছে একটি খাল। সেই খালে মঙ্গলবার সকালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সোমবার দেহ উদ্ধারের পর, কাটা মুণ্ডর খোঁজে তদন্তকারীরা স্নিফার ডগ নিয়ে এসেছিলেন। সেই কুকুরই ক্ষেতের পাশে ওই খালের ধারে এসে দাঁড়িয়ে যায়। তদন্তকারীদের অনুমান, মুণ্ড কেটে ওই খালেই ফেলে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে দু’দফায় খালের সাঁকোর দু’ধারে ২৫ মিটার পর্যন্ত করে অর্থাৎ ৫০ মিটার তল্লাশি চালিয়েছেন ডুবুরিরা। কিন্তু মুণ্ডর খোঁজ মেলেনি। তৃতীয় দফায় ফের ডুবুরি নামানো হয়েছে। আরও ১৫ মিটার ভিতরে তাঁরা ঢুকেছেন।
দেহের অবস্থা দেখেই পুলিশ বলছে, অত্যন্ত নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। যৌনাঙ্গ ছিল ক্ষতবিক্ষত, হাত-পা ঝলসানো। মুণ্ড উদ্ধার না হলে কার দেহ তা কোনওভাবেই বোঝা সম্ভব নয় বলেই বলছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার নৃশংসতায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।





