উত্তর ২৪ পরগনা: চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (By-Election) ফল ঘোষণা মঙ্গলবার। এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে গণনা। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট। তার পর শুরু হয়েছে ইভিএম গণনা। প্রাথমিক যা ট্রেন্ড, তাতে সর্বত্রই এগিয়ে তৃণমূল। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ খড়দহ আসনটি। এখানেও চতুর্থ রাউন্ড শেষে ২৩ হাজার ৮১০ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
খড়দহ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পর পর তিনবার ভোটে জেতা নেতা। এবারও ২৮ হাজার ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রে লড়বেন বলে, তাঁকে আসন ছাড়তে হয়। জেতা বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে লড়তে আসেন খড়দহে। নিঃসন্দেহে নিজেকে প্রমাণের একটা লড়াই যেমন শোভনদেবের।
একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও মুখ রক্ষার লড়াই। কারণ, তাঁর জন্যই বর্ষীয়ান নেতাকে জেতা আসন ছেড়ে লড়তে যেতে হয়েছে অন্যত্র। দলনেত্রীকে জেতাতে শোভনদেবের এই ‘ত্যাগ’ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা কম কটাক্ষ করেনি। তাই শোভনদেব জিততে না পারলে তা যে পরোক্ষ ভাবে দলনেত্রীরও স্নায়ুর চাপ বাড়াবে তেমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝোড়ো ব্যাটিং শোভনদেবের।
যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপির প্রার্থী জয় সাহা বলেন, “ভোটের দিনই আমাদের নৈতিক জয় হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে পশ্চিমবাংলায় ভোট হয় তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে পেরেছিলাম। চুরি করে লুঠ করে বুথ দখল করে উনি জয়ী হয়ে এসে খড়দহের মানুষের কতটা কল্যাণ করবেন সেটা এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে। খড়দহের উন্নয়নের জন্য আমরা আমাদের লড়াই জারি রাখব। কাজ করে যাব। তবে ফলাফল নিয়ে আমরা ভাবি না। মানুষের জন্য কাজ করব।”
গণনার প্রাথমিক যে ট্রেন্ড তাতে গোসাবা, দিনহাটা, শান্তিপুরেও অনেকটাই পিছিয়ে বিরোধীরা। গোসাবায় ১৩ রাউন্ড গণনা শেষে ১১৭০৩৬ ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের সুব্রত মণ্ডল। ঝোড়ো ব্যাটিং সুব্রতর। দিনহাটায় ১১ রাউন্ড গণনা শেষে তৃণমূলের উদয়ন গুহ এগিয়ে ৯১০৬৪ ভোটে। চার রাউন্ড শেষে শান্তিপুরে ১২৯৮১ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী।