Doctors: ১০,০০০ রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে, অভিযোগের মুখে তথ্য প্রকাশ ডাক্তারদের
Doctors: মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে সমস্ত রোগী চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন, তাঁদের আত্মীয়রাও বলছেন, পরিষেবা পেয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরাও চান বিচার পাক তিলোত্তমা। তাঁদের দাবি আন্দোলন চলুক, কিন্তু পরিষেবাও চলুক।

মেদিনীপুর: চিকিৎসকরা যাতে কাজে ফেরেন, তা নিয়ে সোমবারই বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধার্য করে দেওয়া হয়েছে সময়। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেছেন, চিকিৎসা না পেয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। অসুবিধায় পড়েছেন বহু রোগী। সেই শুনানির পরের দিনই ওপিডি-র তথ্য প্রকাশ করলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা।
গত পাঁচ দিনে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ওপিডিতে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছেন ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, কোথায় পরিষেবা বন্ধ, সেটা দেখাক রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে সমস্ত রোগী চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন, তাঁদের আত্মীয়রাও বলছেন, পরিষেবা পেয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরাও চান বিচার পাক তিলোত্তমা। তাঁদের দাবি আন্দোলন চলুক, কিন্তু পরিষেবাও চলুক। হাসপাতালের ওপিডির পাশাপাশি চিকিৎসা চলছে বিশেষ শিবিরেও।
উল্লেখ্য, সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। সেখানেই রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানতে চান, “অনেকে এখানে কাজ করছেন না, প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে কাজ করছেন। এটা কি সত্যি?” জবাবে স্বাস্থ্য সচিব জানান, ৭ লক্ষ মানুষ আউটডোরে পরিষেবা পাননি, ৭০ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি, ৭ হাজারের বেশি সার্জারি করা যায়নি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দয়া করে পরিষেবা দিন।’ ২৩ জনের মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।





