AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bardhaman: হলুদ চুড়িদার পরা মহিলাই কি না এইসব করবেন? সরকারি হাসপাতালে বিরাট ঘটনা

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রুগীর আত্মীয় সুরজ সাহানা বলেন, "এভাবে ভিড়ের মধ্যে থেকে শিশু চুরি হওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক। নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।"

Bardhaman: হলুদ চুড়িদার পরা মহিলাই কি না এইসব করবেন? সরকারি হাসপাতালে বিরাট ঘটনা
বর্ধমানে উত্তেজনাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2025 | 5:28 PM
Share

বর্ধমান: একজন হলুদ চুড়িদার পরিহিতা মহিলার জন্য়ই কান্নার রোল সরকারি হাসপাতালের ভিতরে। বুক চাপড়ে কাঁদছেন সন্তানের মা। কারণ, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগ। ১৮ দিনের এক শিশুপুত্রকে হাসপাতাল চত্বর থেকে চুরি করে পালানোর অভিযোগ উঠেছে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার বিরুদ্ধে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হাসপাতালের আউটডোরের শিশু বিভাগে সন্তানকে দেখাতে আসেন মা সেলেফা খাতুন। তাঁর সন্তানের বয়স ১৮ দিন। সেলেফার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা হামিদা বিবি ও সেলেফার স্বামী সুজল শেখ। এ দিন সুজল  ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। সেলেফার নিজেরও এদিন প্রসূতি চিকিৎসকের কাছে চেকআপ করার কথা ছিল। তবে চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় চেক-আপ হয়নি।

এরপর প্রসূতি বিভাগের বহিঃবিভাগের বারান্দায় সেলেফা খাতুন ও তাঁর মা শিশুটিকে নিয়ে বসে ছিলেন। সেই সময়ই এক হলুদ রঙের চুড়িদার পরিহিতা মহিলা তাঁদের কাছে এসে শিশুটিকে আদর করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর কোলেও নেন। হামিদা বিবির অভিযোগ, অল্প সময়ের মধ্যেই ওই মহিলা শিশুটিকে কোলে নিয়েই সেখান থেকে উধাও হয়ে যান। বিষয়টি টের পেয়ে হামিদা বিবি তড়িঘড়ি জামাই সুজল শেখকে ফোন করে জানান। সুজল সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রুগীর আত্মীয় সুরজ সাহানা বলেন, “এভাবে ভিড়ের মধ্যে থেকে শিশু চুরি হওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক। নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।”

এই ঘটনায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নতুন করে। যদিও হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই।” খবর পেয়ে হাসপাতালে যান ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) দেবাশীস চক্রবর্তী ও বর্ধমান থানার আইসি দিবেন্দু দাস।