Katwa School: ছোট্ট পড়ুয়াদের বাজারে পাঠান স্যর, ধরা পড়ে বলছেন ‘চেয়েছিলাম বাজার করাও শিখুক’

Purba Burdwan: স্থানীয় বাসিন্দা হিরণ মল্লিক বলেন, "এই মাস্টারমশাইয়ের ব্যবহার খুব খারাপ। সবার সঙ্গেই উনি ঝামেলা করেন। ওনার হাবভাবই অন্যরকম। কোনও কথা গ্রাহ্য করেন না উনি। আগে কখনও এমন মাস্টারমশাই দেখিনি এই স্কুলে। আমি নিজেই এই স্কুলের প্রাক্তনী। কখনও এত বাজে ব্যবহার কারও দেখিনি।"

Katwa School: ছোট্ট পড়ুয়াদের বাজারে পাঠান স্যর, ধরা পড়ে বলছেন 'চেয়েছিলাম বাজার করাও শিখুক'
বাজারের ব্যাগ হাতে ফিরছে পড়ুয়া (বাঁদিকে)। ডানদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2024 | 6:05 PM

কাটোয়া: নতুন শিক্ষক এসেছেন স্কুলে। কিন্তু নিয়মিত তিনি দেরি করে স্কুলে আসেন বলে অভিযোগ। সময়মতো স্কুল না খোলায় বাইরে অপেক্ষা করতে হয় ছোট ছোট পড়ুয়াদের। মিড ডে মিলের রান্নার উপকরণ স্কুলের পড়ুয়াদের দিয়ে কিনতে পাঠান বলেও অভিযোগ। অন্য সহকারী শিক্ষকরাও স্কুলের দরজা না খোলা থাকায় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার লোকজন। কাটোয়া-২ ব্লকের শ্রীবাটি পঞ্চায়েতের নতুনগ্রাম স্কুলের ঘটনা। শিক্ষক স্বীকার করে নেন, তিনি ছাত্রদের বাজার পাঠিয়েছেন। তাঁর দাবি, ওরা যাতে বাজার করা শেখে, তাই নাকি তিনি এ কাজ করেছেন। তবে বাড়ির লোকেরা বলছেন, এ কাজ শেখানোর জন্য পরিবার আছে। নিয়ম করে উনি শিক্ষাটুকু দিলেই চলবে।

শ্রীবাটি পঞ্চায়েতের নতুনগ্রাম স্কুলে প্রায় ৪০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক আছেন ২ জন। অভিযোগ, প্রতিদিনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমন ঘোষ দেরি করে স্কুলে আসেন। তিনি এলে তারপর স্কুলের দরজা খোলে। শুরু হয় পড়াশোনা। এরই ফাঁকে আবার শিক্ষক বাচ্চা ছেলেদের হাতে বাজারের ব্যাগ ধরিয়ে দেন বাজার করে আনার জন্য।

স্থানীয় বাসিন্দা হিরণ মল্লিক বলেন, “এই মাস্টারমশাইয়ের ব্যবহার খুব খারাপ। সবার সঙ্গেই উনি ঝামেলা করেন। ওনার হাবভাবই অন্যরকম। কোনও কথা গ্রাহ্য করেন না উনি। আগে কখনও এমন মাস্টারমশাই দেখিনি এই স্কুলে। আমি নিজেই এই স্কুলের প্রাক্তনী। কখনও এত বাজে ব্যবহার কারও দেখিনি।”

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সুমন ঘোষ বলেন, “আমি আগেও স্বীকার করেছি যে এটা জানা ছিল না বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো যায় না। আমি নিজের সন্তানের মতো মনে করি ওদের। ওরা হিসাবপত্র শিখবে ভেবেই পাঠিয়েছিলাম। আর বাজার এমন দূরেও নয়। এটা আমার ভুল হয়েছে। এতটা সিরিয়াস ব্যাপার হবে বুঝতে পারিনি। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য ছিল ওরা বাজার করাটা শিখুক।” বিষয়টি উপরমহলে জানানো হবে বলে জানান পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। অন্যদিকে স্কুল পরিদর্শক শুভজিৎ মণ্ডলের বক্তব্য, স্কুলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।