SIR-এর মহিমা! মা হয়ে গেলেন শ্যালিকা, আজব অভিযোগ তমলুকে
Tamluk: বিজেপি নেতার দাবি, ২০০২ সালের তালিকা অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় বিধানসভার ১৩৭ নম্বর বুথের ৫৪ নম্বর সিরিয়ালে তমাল নায়েক নামে একজন ভোটার রয়েছেন,যার বাবার নাম ভগবান নায়েক। অর্থাৎ তমাল নায়েক হলেন ভগবান নায়েকের কন্যা।

তমলুক: মা হয়ে গেলেন শ্যালিকা! তমলুকে ভোটার তালিকায় জাল তথ্যের অভিযোগ। জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ বিজেপি নেতার। ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করছে তৃণমূল। তমলুক বিধানসভার ২০৯ নম্বর বুথে ভোটার তালিকায় জাল তথ্য প্রদান ও অবৈধভাবে নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা তথা তমলুক বিধানসভার বিএলএ ওয়ান মধুসূদন প্রামাণিক।
অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তমলুক ২০৩ নম্বর বিধানসভার ২০৯ নম্বর বুথের ভোটার তালিকার ২০৬ নম্বরে নাম রয়েছে বৈশাখী নায়েকের। বাবার নাম ভগবান নায়েক। ২১০ নম্বরে নাম রয়েছে বৈশাখীর স্বামী বিজয় নায়েকের। তাঁর বাবার নাম অভিরাম নায়েক। অভিযোগ, বিজয় নায়েক তাঁর ফর্মে নিজের মায়ের নাম হিসেবে তমাল নায়েকের নাম উল্লেখ করেছেন।
বিজেপি নেতার দাবি, ২০০২ সালের তালিকা অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় বিধানসভার ১৩৭ নম্বর বুথের ৫৪ নম্বর সিরিয়ালে তমাল নায়েক নামে একজন ভোটার রয়েছেন,যার বাবার নাম ভগবান নায়েক। অর্থাৎ তমাল নায়েক হলেন ভগবান নায়েকের কন্যা। সেই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, বিজয় নায়েকের স্ত্রীর বাবা ও তাঁর তথাকথিত মায়ের বাবা একই ব্যক্তি- যা বাস্তবে সম্ভব নয়। ফলে ভোটার তালিকায় দেওয়া তথ্য জাল ও বিভ্রান্তিকর বলেই দাবি বিজেপি নেতার।
যদিও বিজয় নায়কের বাড়িতে গেলেও তাঁর বাড়িতে কারও দেখা পাওয়া যায়নি। ফোনেও কোনওভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিজেপি নেতা মধুসূদন প্রামাণিক বলেন, “তমলুক বিধানসভার ২০৯ নম্বর বুথের ভোটার তালিকায় তথ্যগত গরমিল রয়েছে। ২১০ নম্বর সিরিয়ালে বিজয় নায়েকের তথ্য ভুলভাল রয়েছে তাই আমি ১ ডিসেম্বর জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। প্রশাসন যেন দ্রুত তদন্ত শুরু করে।” তিনি আরও বলেন, “আমার ধারণা, ওই ব্যক্তি প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক নন এবং হিন্দু পরিচয়টিও ভুয়ো হতে পারে।”
এই বিষয়ে, ২০৯ নম্বর বুথের বিএলএ টু তথা তৃণমূল নেতা কার্তিক পাল বলেন, ছোটবেলা থেকেই ওই ব্যক্তির বাবা মা-কে ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে মা অন্য কারও কাছে আশ্রয় নেন। সেই কারণেই মায়ের নাম ব্যবহার করে ফর্ম পূরণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি এই এলাকাতেই বসবাস করছেন। বিজেপি নানা জায়গায় অযৌক্তিক অভিযোগ করছে, এখানেও তাই করেছে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
এই অভিযোগ সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
