কাঁথি: ‘অধিকারী গড়’ কাঁথিতে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েও অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। গোষ্ঠীকোন্দল ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ড গঠন নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের অসন্তোষ ঠেকাতে রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠক করে। তারপরও গোষ্ঠীকোন্দল থামানো যায়নি। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ডে ১৫ জন ডিরেক্টরের জন্য ৩০ জন মনোনয়ন তুললেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন হয়। ১০৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী ১০১ আসনে জয়ী হন। বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জেতেন ৬টি আসনে। একটি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হন।
নিরঙ্কুশ জয় পেলেও বোর্ড গঠন নিয়ে শাসকদলের মধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়। এদিকে, ভোটে অনিয়ম, কারচুপির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলাও হয়। নির্বাচন বাতিলের আবেদন জানান আবেদনকারীরা। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট। আদালতে মামলা খারিজ হলেও তৃণমূলের অন্দরে বোর্ড গঠন নিয়ে জটিলতা কাটেনি।
সমবায় এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান, ডিরেক্টরদের ঠিক করতে গিয়ে নাজেহাল রাজ্যের শাসকদল। এমনকি, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বৈঠক করলেও জট কাটেনি। রাজ্য সভাপতি এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি নিয়ে দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরির হোয়াটসঅ্যাপে তালিকা এলেও তা মানা হল না।
সোমবার বোর্ডের ১৫ জন ডিরেক্টরের জন্য মনোনয়ন তোলা হয়। সেখানে শাসকদলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১৫ আসন বিশিষ্ট ডিরেক্টর পদের জন্য মনোনয়ন তুললেন ৩০ জন। দিনের শেষে কোন্দল মেটাতে খোদ এবার রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে রাজ্য সম্পাদক ও রাজ্য সমবায় সেলের ভাইস চেয়ারম্যান আশিস চক্রবর্তী কাঁথি আসেন। উত্তম বারিক ও অখিল গিরির মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল ঠেকাতে এদিন সন্ধ্যায় কাঁথির সেচ বাংলোয় বৈঠক করেন আশিস চক্রবর্তী।
পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। তালিকা নিয়ে যে অসন্তোষ রয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করেন। তবে যে তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের সম্মতিতে এসেছে, তা সঠিক বলেও জানান। ডিরেক্টর নির্বাচনের জন্য আগামিকাল মনোনয়ন জমা পড়বে। তা নিয়ে আশিস চক্রবর্তী বলেন, মনোনয়নপত্র জমা, স্ক্রুটিনি সব হোক, তারপর বাকিটা দেখছে দল। প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি ডিরেক্টর নির্বাচন। নির্বাচিত ডিরেক্টররা এরপর চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন।