তমলুক: ভোট গণনার (Panchayat Vote Counting) আগে হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল নেতা। ঘাসফুল শিবিরের তমলুক শহর কমিটির সভাপতি চঞ্চল খাঁড়ার উপর গতকাল একদল দুষ্কৃতী হামলা করে বলে অভিযোগ। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক (Tamluk) ব্লকে দলের পঞ্চায়েত ভোটের কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। তমলুকের নাইকুড়ি হাই স্কুল চত্বরে স্ট্রং রুম করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সেই চত্বরে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়। অভিযোগের তির, বিজেপির দিকে। আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতাকে প্রথমে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে দেখতে আজ যান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল বিকেলে যখন তিনি স্ট্রং রুম চত্বরে গিয়েছিলেন, তখন একাংশের লোকজন মনে করেছিল, তিনি ব্যালট বাক্স লোপাট করতে সেখানে গিয়েছেন। আর সেই সন্দেহ থেকেই তাঁর উপর চড়াও হয় বিজেপি সমর্থক কিছু গ্রামবাসী। বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। এদিকে তৃণমূল নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে আজ তমলুকে একটি মিছিলও করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তমলুক হাসপাতাল মোড়েও চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন।
মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া কুণাল ঘোষ। দলীয় নেতার উপর হামলার পিছনে জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি তোলেন তিনি। এদিকে চঞ্চল খাঁড়া নামে ওই তৃণমূল নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রাতে। এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
যদিও এই হামলার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোলের জন্যই ওই তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা বিষয়ে গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্বই উসকে দিচ্ছেন তিনি। ওই তৃণমূল নেতা স্ট্রং রুম চত্বরে কেন গিয়েছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তপনবাবুর।