Budge Budge: ‘এই মাস্টার খাবি? এই নে খা’, অবৈধ নির্মাণ ভাঙতেই প্রধান শিক্ষকের মুখে ঠেসে ধরল গাঁজা
Budge Budge: অভিযোগ, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই তুষাঢ়বাবুর পথ আটকায় শঙ্কর। মুখে ঠেসে দেওয়া হয় গাঁজা-বিড়ির প্যাকেট। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ করলে একেবারে রুদ্রমূর্তিতে দেখা যায় শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে।
বজবজ: অবৈধ নির্মাণ নিয়ে শোরগোল তো চলছেই। এবার একেবারে স্কুল চত্বরে অবৈধ নির্মাণ! প্রতিবাদ করতেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে চরম হেনস্থা করার অভিযোগ। মুখে ঠেসে দেওয়া হল গাঁজার প্যাকেট। এমনকী বাঁশ দিয়ে মারার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বজবজ ২ নম্বর ব্লকের বুরুল হাইস্কুল চত্বরে। অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রায়শই মদ খেয়ে মাতলামি করেন শঙ্কর নস্কর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। স্কুলের মেয়েদের দিকে অশালীন ইঙ্গিতও করা হয় বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে স্কুল চত্বরেই একটি অবৈধ নির্মাণও করে ওই শঙ্কর। পুলিশে জানালে পুলিশ এসে তাঁদের কাজ বন্ধ করতে বলে। এমনকী থানাতেও ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, তারপরেও টনক নড়েনি। এরইমধ্যে চরম হেনস্থার শিকার হতে হল স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুষাঢ় কান্তি মণ্ডলকে।
অভিযোগ, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই তুষাঢ়বাবুর পথ আটকায় শঙ্কর। মুখে ঠেসে দেওয়া হয় গাঁজা-বিড়ির প্যাকেট। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ করলে একেবারে রুদ্রমূর্তিতে দেখা যায় শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে। লাঠি নিয়ে মারার চেষ্টাও হয়। মুহূর্তেই তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গোটা ঘটনার ভিডিয়োও ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এ ঘটনায় হতবাক শিক্ষামহল। উঠছে নিন্দার ঝড়।
কিন্তু, আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? তুষাঢ়বাবুর অভিযোগ, “হাইস্কুলের জায়গাতেই শঙ্কর নস্কর ও তাঁর অবৈধ নির্মাণ করছে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের মারতে আসে। শঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। পুলিশ আসে। ওদের অবৈধ নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে বলে। পরের দিন দেখা যায় ওই একই জায়গায় ফের কাঠামো তোলা হয়েছে।” এখানে না থেমে তিনি আরও বলেন, “শঙ্কর তো এমনিই সর্বদা মদ খেয়ে থাকে। স্কুলের মেয়েদের বাজে কথাও বলেও। যা নিয়ে অভিভাবকেরাও বিরক্ত। এরইমধ্যে ১ জুলাই শঙ্কর নস্কর আমার বাইক আটকায়। হাতে গাঁজার প্যাকেট ও বিড়ির প্যাকেট নিয়ে আমার মুখে গুঁজে দিতে যায়। বলে এই মাস্টার খাবি? খাবি? এই নে খা। তোর পায়ে ধরতে হবে খাবার জন্য? তখনই স্থানীয় লোকজন এসে ওকে বাধা দেয়। তারপর ও আমার বাঁশ নিয়ে মারতে যায় ওদের। তারপরই আমরা পুলিশে খবর দিই।” এদিকে ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই শিক্ষক। নোদাখালি থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দ্রুত অ্যাকশন নিক পুুলিশ।