North Dinajpur: প্রেম করে বিয়ে করেছে, মানতে না পেরে জীবিত মেয়ের শ্রাদ্ধ করল পরিবার, পাত পেড়ে খেল লোকজনও
North Dinajpur: ওই যুবতীর পরিবার জানিয়েছে, তাঁদের মেয়ে পরিবারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন এবং সম্মান নষ্ট করেছেন। তাই, তাঁরা মেয়েকে মৃত বলে গণ্য করেন। এবং মৃত মেয়ের আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পালন করেন।

চোপড়া: পরিবারের অমতে বিয়ে করেছে মেয়ে। তাই জীবিত মেয়েরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সারলেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা। শনিবার এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ে পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করায় তাঁরা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, তাঁদের মেয়ে পরিবারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন এবং সম্মান নষ্ট করেছেন। তাই, তাঁরা মেয়েকে মৃত বলে গণ্য করেন। এবং মৃত মেয়ের আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পালন করেন। এবং মেয়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন। কান্নাকাটিও করতে দেখা যায় বাড়ির লোকজনকে।
এদিন পরিবারের সদস্যরা হিন্দু রীতি অনুযায়ী শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পুরোহিত মন্ত্র পাঠ সহযোগে যাগযজ্ঞাদি করেন এবং গ্রামবাসী ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ঘটনা গ্রামের সামাজিক শান্তি ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আশা করেন, আগামী দিনে গ্রামে এ ধরনের কোনও ঘটনা যেন না ঘটে। ওই মেয়ের পরিবার এবং স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে আগামীতে গ্রামের আর কোনও মেয়ে এভাবে পরিবারের অমতে অন্য ছেলের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করতে না সাহস পান, সে কারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা।
এই খবরটিও পড়ুন




জানা গিয়েছে, গত ৯ মার্চ প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ওই যুবতী। তারপর তাঁরা বিয়েও করেন। কিন্তু সবটাই পরিবারের অমতে। আর তাঁকে ফেরাতে না পারায় ভুলে যেতেই এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন বলে ওই যুবতীর পরিবার জানান।
যদিও চোপড়া থানার পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, পরিবারের তরফে নিখোঁজের অভিযোগ দায়েরের পর ওই যুবতীকে উদ্ধারও করেছিল পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে সাবালিকা মেয়ের জবানবন্দী নিয়ে তাঁর ইচ্ছায় নতুন সংসারে ফেরত পাঠানো হয় আইনি প্রক্রিয়ায়।





