Kaliagung Physical Assault Case: ছোট্ট মেয়েটা সিসিইউয়ে যুঝছে, শুধু লালসার শিকারই নয়, দেওয়া হয়েছে হুমকিও
Uttar Dinajpur: সোমবার রাতেই নির্যাতিতাকে হাসপাতালের সিসিইউয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মূল অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশসুপার সানা আখতার বলেন, আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যেহেতু নাবালক, ফলে তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই নির্যাতিতাকে হাসপাতালের সিসিইউয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকায়। অভিযুক্ত কিশোরের ১৪-১৫ বছর বয়স। সে টুকটাক ইলেকট্রিকের কাজ করে। এলাকারই একটি বাড়িতে ফ্যান খারাপ হয়ে যায়। সেখানেই ডাকা হয়েছিল তাকে।
এদিকে যে বাড়িতে সে যায়, সেখানে এক নাবালিকা রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। তার স্কুলেই নবম শ্রেণিতে পড়ে অভিযুক্ত। চেনা মুখ। তাই কাজ বুঝিয়ে দিয়ে ওই নাবালিকার মা কাজে বেরিয়ে যান। অভিযোগ, এরপরই ওই নাবালিকার উপর হামলে পড়ে সে। ওইটুকু মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়।
প্রথমে কেউ কিছু জানতে পারেনি। নাবালিকার ঠাকুমা, দাদু মাঠে কাজ করছিলেন। সেখানে গিয়ে ঠাকুমাকে সে সবটা বলে। একইসঙ্গে জানায়, রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মেয়েটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটে পরিবার। সেখানে গিয়েই তারা জানতে পারে মেয়ের দাবি ঠিকই। অত্যাচার চলেছে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর উপর। পরিবারের দাবি, সময় যত এগিয়েছে, মেয়েটি অসুস্থ হতে শুরু করে। রাতের দিকে অবস্থা খারাপ হওয়ায় সিসিইউয়ে রাখা হয়। এখনও সেখানেই রয়েছে সে।
অভিযোগ, ওই নাবালক মেয়েটিকে হুমকিও দেয়। কাউকে কিছু বললে প্রাণে মারার কথা বলে। অন্যদিকে সূত্রের দাবি, ঘটনার পর রাতে ছেলেটির বাড়ির লোকজন হাসপাতালে যায়। সেখানেও এক প্রকাশ হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল অভিযুক্ত। যদিও আপাতত পুলিশ তাকে আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুন: Maldah Crime: তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পুলিশের ‘সন্ত্রাস’, কাঠগড়ায় বৈষ্ণবনগর থানার এএসআই