AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে বাড়তে পারে শিশু আক্রান্তের হার, তৈরি হচ্ছে ‘পিকু’

করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৩-৬ বছর বয়সী শিশুদের আক্রান্তের হার ২.০১ শতাংশ। এবং ১৭ বছর পর্যন্ত আক্রান্তের হার প্রায় ২১ শতাংশ।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে বাড়তে পারে শিশু আক্রান্তের হার, তৈরি হচ্ছে 'পিকু'
শিশুদের নিয়ে বাড়ছে ভয় জলপাইগুড়িতে
| Updated on: Jun 02, 2021 | 8:15 PM
Share

শিলিগুড়ি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Corona Second Wave) ত্রস্ত সারা দেশ। এর মধ্যে তৈরি হয়েছে তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউয়ে বাড়তে পারে শিশু আক্রান্তের হার। এই পরিস্থিতিতে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক পিকু ( PICU)।

করোনার দুই ঢেউয়েই আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। তবে প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয়তে বেড়েছে শিশু আক্রান্তের হার। তবে দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও ক্রমশ কমছে করোনা আক্রান্তের হার। এর মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণী, দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দেওয়ার পরপরই আছড়ে পড়তে পারে কোভিডের (COVID) তৃতীয় ঢেউ। আর তাতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার অশঙ্কা অনেক বেশি বলে দাবি তাঁদের।

এদিকে নজর রেখেই তার মোকাবিলা কীভাবে হবে এ নিয়ে আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সেখানে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা হাসপাতালে অত্যাধুনিক পিকু ( PICU) তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের জন স্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়।

কী এই পিকু ( PICU)?

পিকু-র বিস্তারিত নাম পেডিয়েট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট। যেমন সাধারণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, তেমনি কেবলমাত্র শিশুদের একটি অত্যাধুনিক ইউনিট তৈরি হবে। যেখানে যাবতীয় উন্নত মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকবে তাদের চিকিৎসার জন্য। করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায় বলেন, “আমরা আশা করছি আগামী ১৫ জুনের পর করোনা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হবে। তখন আমরা হয়তো একটু শ্বাস নিতে পারব। বর্তমানে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। রোগীর সংখ্যা কমেছে। তবে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। আর তা এলে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হবে। এই সম্ভাবনা ধরে নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।”

সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা হাসপাতালে পেডিয়েট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের গাইড লাইন অনুযায়ী এই ধরনের ইউনিট সাধারণত মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই থাকে। আজকের শিশুরাই আগামীতে দেশের ভবিষ্যৎ। তাই এদের সুরক্ষার ব্যপারে কোনও আপস না করে জেলায় জেলায় পিকু তৈরীর প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

এই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আসতে একটু সময়সাপেক্ষ। তবে আশা করা যায় আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই পিকু তৈরীর কাজ শুরু হবে, জানান সুশান্তবাবু।

আরও পড়ুন: বার্নপুর ইস্কো কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করে মৃত্যু ২ শ্রমিকের, অসুস্থ ৩ 

প্রসঙ্গত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৩-৬ বছর বয়সী শিশুদের আক্রান্তের হার ২.০১ শতাংশ। এবং ১৭ বছর পর্যন্ত আক্রান্তের হার প্রায় ২১ শতাংশ।