Lakshadweep-Maldive Row: ভারতীয়রা মুখ ফেরাতেই মলদ্বীপের পেটে টান, চিনের কাছে পাততে হল হাত…
Maldive Tourism Boycott: পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি মলদ্বীপের। প্রতি বছর ভারত থেকেই সবথেকে বেশি সংখ্যক পর্যটক মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে যান। কিন্তু সেই দেশের নেতা-মন্ত্রীরাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমান করেছে। চুপ করে থাকছে না ভারতীয়রাও। মলদ্বীপের বুকিং ক্য়ানসেল করে সবাই লাক্ষাদ্বীপে যাচ্ছেন। কূটনৈতিক এই টানাপোড়েনে বিপাকে পড়েছে মলদ্বীপ।
মালে: তুঙ্গে মলদ্বীপ-লাক্ষাদ্বীপ বিতর্ক (Maldive-Lakshadweep Row)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) লাক্ষাদ্বীপে যেতেই গায়ে ফোস্কা পড়েছে মলদ্বীপের। ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন মলদ্বীপের নেতা-মন্ত্রীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। সমন পাঠানো হয়েছে মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে, উঠেছে মলদ্বীপ বয়কটের ডাকও। অনেক ট্রাভেল ওয়েবসাইট মলদ্বীপের বুকিং বাতিল করে দিয়েছে। বুকিং বাতিল হতেই বেকায়দায় পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। ভারত থেকে পর্যটকরা মুখ ফেরানোয় এবার চিনের কাছে হাত পাতল মলদ্বীপ। মঙ্গলবারই সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ়ু চিনের কাছে আবেদন জানায় আরও বেশি করে পর্যটক পাঠানোর জন্য।
পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি মলদ্বীপের। প্রতি বছর ভারত থেকেই সবথেকে বেশি সংখ্যক পর্যটক মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে যান। কিন্তু সেই দেশের নেতা-মন্ত্রীরাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমান করেছে। চুপ করে থাকছে না ভারতীয়রাও। মলদ্বীপের বুকিং বাতিল করে সবাই লাক্ষাদ্বীপে যাচ্ছেন। কূটনৈতিক এই টানাপোড়েনে বিপাকে পড়েছে মলদ্বীপ। এই পরিস্থিতিতেই চিন সফরে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ়ু। সেখানে তিনি বলেন, মলদ্বীপের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সঙ্গী চিন। উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অন্যতম সঙ্গী চিন।
চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রেসিডেন্ট মুইজ়ু বলেন, “অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিকাঠামোগত প্রকল্পের সাক্ষী থেকেছে মলদ্বীপের ইতিহাস”। এরপরই চিনের কাছে আরও বেশি পর্যটক পাঠানোর আবেদন জানান মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “করোনা-পূর্ববতী সময়ে চিন আমাদের এক নম্বর বাজার ছিল। আমি অনুরোধ করব চিন থেকে যেন আরও পর্যটক পাঠানো হয় মলদ্বীপে।”
জানা গিয়েছে, ভারত মহাসাগরে পর্যটনকে আরও উন্নত ও জনপ্রিয় করতে চিন ও মলদ্বীপ ৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।