Bondi Beach Attack: ইহুদি হওয়াই অপরাধ? বন্ডি বিচে হামলাকারী আসলে বাবা-ছেলে, উঠে এল পাকিস্তান যোগ!
Australia Gunmen Attack: নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ কমিশনার মাল ল্যানয়ন জানিয়েছেন, তদন্তে উঠে এসেছে যে এক হামলাকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তিনি পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এদিকে, আততায়ী বাবা-ছেলের জুটির মধ্যে বাবার কাছে বন্দুকের লাইসেন্স ছিল।

সিডনি: উৎসবের আনন্দ এক মুহূর্তে বদলে গেল আতঙ্ক, আর্তনাদে। ইহুদিদের হানুকা (Hannukah) উৎসব শুরুর দিনই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বন্দুকবাজে হামলা (Gunmen Attack)। এলোপাথাড়ি ৫০ রাউন্ড গুলি চলল বন্ডি বিচে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ থেকে ১৫ জনের। আহত ৪০ জন। ইতিমধ্য়েই এক বন্দুকবাজকে নিকেশ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে আরেক বন্দুকবাজকে। এর মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, হানুকা অনুষ্ঠানে হামলাকারী দুইজন সম্পর্কে বাবা-ছেলে। ছেলের নাম নাভিদ আক্রাম। দুইজনে মিলে পরিকল্পনামাফিক ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উপরে হামলা করে বলে অনুমান। অস্ট্রেলিয়া সরকার এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই অ্যাখ্য়া দিয়েছে।
#Sanghis orchestrated a false-flag terror attack on Australia’s #bondibeach during a Jewish Hanukkah event, just to polarize communities and boost ticket sales for their propaganda flick #Dhurandhar.🤡 pic.twitter.com/GlY1W15ETa
— KK (@Non_Bel1ever) December 14, 2025
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ কমিশনার মাল ল্যানয়ন জানিয়েছেন, তদন্তে উঠে এসেছে যে এক হামলাকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তিনি পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এদিকে, আততায়ী বাবা-ছেলের জুটির মধ্যে বাবার কাছে বন্দুকের লাইসেন্স ছিল। ছয়টি বন্দুকও রেজিস্টার রয়েছে তাঁর নামে। ঘটনাস্থলের কাছে দুটি তাজা ইমপ্রোভাইসড ডিভাইস বা আইইডি মিলেছে। পরে তা সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয়।
Those who say terrorism has no religion should see that a terrorist has launched an attack on an Sydney bondi beach Australia while chanting Allahu Akbar.
One of the terrorists has been identified as Naveed Akram Pakistani Muslim.
These jihadi is cancer.#bondibeach #Australia pic.twitter.com/Tl4k27HkKD
— Kamalraj singh (@kamalraj_0007) December 14, 2025
পুলিশের অনুমান, এই হামলায় আর কোনও তৃতীয় ব্যক্তির যোগ ছিল না। ৫০ বছর বয়সী বন্দুকবাজের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। ২৪ বছর বয়সী আরেক বন্দুকবাজ গুরুতর আহত। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কেন এই হামলা চালানো হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাদের সঙ্গে আইসিসের যোগ রয়েছে কি না, তাও জানা যায়নি। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার এই বিচে হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে আতশবাজি ফাটানো হচ্ছে হামলার উদযাপন করতে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অনেকে। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা।
