ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে প্রায় ২ মাস আগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর থেকে জেলে রয়েছেন। নিম্ন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ঢাকা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু, সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদনের শুনানি সোমবারও হল না।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী সুমনকুমার রায় বলেন, “শুনানির তালিকায় এই মামলার সিরিয়াল অনেকে পিছনে ছিল। আমাদের সিনিয়র আইনজীবীরা এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত জানিয়েছে, এটি সেন্সিটিভ মামলা। সিরিয়াল অনুযায়ী যখন মামলাটি শুনানির জন্য আসবে, তখন শুনানি হবে। ফলে আজ জামিনের শুনানি হচ্ছে না। চেষ্টা করা হবে আগামী সপ্তাহে যাতে শুনানি হয়।”
গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণকে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ। চট্টগ্রামের একটি নিম্ন আদালত গত ২ জানুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। সেইদিন শুনানিতে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেল মাতৃভূমিকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করেন। তিনি দেশদ্রোহী নন।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা ১২ জানুয়ারি ঢাকা হাইকোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন জানাই।” তিনি আরও বলেন, “যেকোনও জমায়েত কিংবা সভায় বক্তব্যের শুরুতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রথমেই বলতেন, মা ও মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়ে ভাল।”
অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য জানান, যে পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে, তা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নয়। এমনকি, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আদালতের অনুমতি ছাড়া দেওয়া যায় না। আদালতের অনুমতি নেওয়া হয়নি। চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারি ও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে।