Bangladesh-Pakistan Relationship: তলে তলে মিলে যাচ্ছে ঢাকা-ইসলামাবাদ! ভারতের চাপ বাড়াতেই কি ‘জলযোগে’র আয়োজন?
Bangladesh-Pakistan Relationship: বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে এবার সরাসরি পাক বন্দর করাচিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালাতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ।
টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তারপরেই বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যে সরকারের মাথায় রয়েছেন হাসিনা সরকাররে অন্যতম সমালোচক মহম্মদ ইউনূস। সরকারের বসেই ভারত সরকারের উপর নরম গরমে নানা কৌশল অবলম্বন করে এগিয়ে চলেছে ইউনূস।
তবে আরও খানিকটা এগিয়ে গেল ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে এবার সরাসরি পাক বন্দর করাচিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালাতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও করে তুলতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাক হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। ঢাকার পাক হাই কমিশনও সমাজমাধ্যমে চট্টগ্রাম-করাচি জাহাজ পরিষেবা চালুর বিষয়ে সরকারি স্তরে আলোচনার কথা জানিয়েছে। ঘটনাচক্রে, বুধবারই প্রথম করাচি থেকে সরাসরি একটি জাহাজ চট্টগ্রামে এসেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে হাসিনা সরকার যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততদিন বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নতি করতে এত চেষ্টা দেখা দেয়নি, বরং ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের পাক সেনার মুক্তি যোদ্ধা এবং আপামর বাঙলা ভাষাভাষিদের উপর অত্যাচারের কথা বারবার শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সেই নীতির প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের একাধিক নির্ণয়েও। কিন্তু ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসতেই তার উলটো পথে হেঁটেছে। হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতেই কাছাকাছি এসেছে ঢাকা-ইসলামাবাদ।
আবার রাজনীতির কারবারিদের অনেকের দাবি, সবে মাত্র পালাবদল হয়েছে মার্কিন মুলুকে। বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে মোদীর বন্ধু ট্রাম্প। আর ক্ষমতায় এস ইউনূস সরকারের সমালোচনা শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের বাহিনীর মুখে। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন ট্রাম্পের গোয়েন্দা বিভাগের নতুন প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডও। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে পরোক্ষে ভারতকেই চাপে রাখতে চাইছে বাংলাদেশ।