ঢাকা: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হামলাকে ‘অতিরঞ্জিত প্রচার’ বললেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূরণ উপলক্ষেই জাতির উদ্দেশো ভাষণ দেন ইউনূস। সেখানেই তিনি হিন্দুদের উপরে হামলার ঘটনাকে অতিরঞ্জিত বললেন।
হাসিনা সরকারের পতন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের মাঝে টালমাটাল ছিল বাংলাদেশ। সেই অস্থিরতা এখনও কাটেনি। বৈষম্য় বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লিগ সরকার পতনের পরই বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা, অত্যাচার বেড়েছে। হিংসার ঘটনা স্বীকার করলেও, রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বলেন, “এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। সাম্প্রদায়িক রঙ লাগানোর জন্য অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে, যাতে দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়।”
এ বছরের দুর্গাপুজোও বাংলাদেশে অন্যরকম হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য কার্যত পাহারা দিতে হয়েছিল দুর্গা মণ্ডপ। তারপরও হামলা ঠেকানো যায়নি। কমপক্ষে ৩৫টি জায়গায় হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ এসেছিল। যদিও রবিবার মহম্মদ ইউনূস বলেন, “এবারে দেশ জুড়ে প্রায় ৩২ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপুজো হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে যাতে দুর্গাপুজো হয়, তার জন্য বিপুল নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।”
হিন্দুদের উপরে হামলার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে প্রতিটি হামলার ঘটনার তদন্তে নির্দেশ দিয়েছি আমরা। আমাদের সরকার সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দুদের উপরে হামলা শুরু হয়। ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে মাত্র ৮ শতাংশ হিন্দু রয়েছে। অগস্টের পর কমপক্ষে ২ হাজার হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠনের তরফেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি মার্কিন নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পও বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন।