AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সম্প্রীতিতেই’ ‘সমঝোতা’ দেখছে ভারত-বাংলাদেশ, মোদী-হাসিনা বৈঠকে পারস্পরিক ‘কৃতজ্ঞতার’ সুর বিদ্যমান

বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি থেকে ভারতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেলপথ আবারও চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ

‘সম্প্রীতিতেই’  ‘সমঝোতা’ দেখছে ভারত-বাংলাদেশ, মোদী-হাসিনা বৈঠকে পারস্পরিক ‘কৃতজ্ঞতার’ সুর বিদ্যমান
ছবি : টুইটার
| Updated on: Dec 19, 2020 | 6:12 PM
Share

নয়া দিল্লি: চলছে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আগামী ২০২১-এ ৫০ বছরে পা দিতে চলেছে বাংলাদেশের(Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধ।সদ্যই গিয়েছে ‘বিজয় দিবস’ও। সব মিলিয়ে এবার ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ‘অম্লমধুর’ সম্পর্কে যে খানিক অন্য স্বাদ আনতে উদ্যোগী দুই দেশপ্রধান তা স্পষ্ট হয়ে গেল ১৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে। এদিনের বৈঠকে ভারতের(India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) এবং বাংলাদেশ প্রধান শেখ হাসিনার(Sheikh Hasina) যৌথ উদ্যোগে উদ্বোধিত হল ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী।’ স্বাক্ষরিত হল ৭টি সমঝোতা চুক্তি।

আরও পড়ুন : ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে ‘ছেলে ডাকার’ অভিযোগ, ঘেরাও-বিক্ষোভ জেইউ-তে

বৈঠকে মোট ৭ টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশের তরফে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের(Bangladesh) কর্মকর্তারা ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের(India) হাইকমিশনার।

কোন ৭ টি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর হল ?

• হাইড্রোকার্বন খাতে সহযোগিতা ও উন্নয়ন •সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক উন্নয়ন •বন্য হাতি সংরক্ষণ •বরিশালে পয়ঃনিষ্কাশন প্ল্যান্ট স্থাপন •কৃষিখাতে সহযোগিতা •বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিউজিয়ম, ঢাকা ও দিল্লির জাতীয় সংগ্রহশালার মধ্যে মিত্রতাস্থাপন •ভারত ও বাংলাদেশের কার্যনিবাহী কমিটির মধ্যে মিত্রতা স্থাপন

পাশাপাশি, বাংলাদেশের(Bangladesh) নীলফামারী জেলার চিলাহাটি থেকে ভারতে(India) পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেলপথ আবারও চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালের পর প্রায় ৫৫ বছর পার করে চালু হতে চলেছে এই রেলপথ। একইসঙ্গে, ভার্চুয়াল প্রদর্শনীর যৌথভাবে উদ্বোধন করলেন দুই সরকার।ভারতে দিল্লি ও বাংলাদেশের বহুলাংশ ও ইউনাইটেড নেশনস-এ দেখা যাবে এই প্রদর্শনী। ২০২২-এ কলকাতায় এই প্রদর্শনীর সমাপ্তি।

আরও পড়ুন :বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন, বাড়ি ভাঙচুর

প্রসঙ্গত, করোনা কালে, বাংলাদেশে এবছর মুজিববর্ষ পালনে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই ভার্চুয়াল বৈঠকই সম্বল। বৈঠকের শুরুতেই মোদীর কণ্ঠ থেকে পৌষ পার্বণের শুভেচ্ছা পৌঁছে গিয়েছে কাঁটাতারের ওই পারে।এই বৈঠকে ঢাকায় জল বণ্টন, কোভিড সহযোগিতা, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও রোহিঙ্গা সংকটসহ প্রধান সব দ্বিপক্ষীক ইস্যু তুলে ধরা হবে মনে হয়েছিল, কিন্তু সেসব নিয়েই কোনও দীর্ঘ পর্যালোচনাতেই যাননি দুই দেশপ্রধান। তবে ভারতের কূটনৈতিক দফতরের দাবি, দুই দেশের ‘শীতল’ সম্পর্ককে ‘মজবুত’ করতেই সম্প্রীতির বার্তা ছড়াতে উদ্যোগী দুই দেশপ্রধান।