ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে ‘ছেলে ডাকার’ অভিযোগ, ঘেরাও-বিক্ষোভ জেইউ-তে
শান্তিপূর্ণভাবেই আলোচনা করতে গিয়েছিলেন পড়ুয়ারা।হঠাৎ মেজাজ হারান ওমপ্রকাশবাবু। পড়ুয়াদের উদ্দেশে কটুক্তি করেন ওমপ্রকাশ। ছাত্রীদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে গাড়িতে উঠে পালানোর চেষ্টা করেন।
শনিবার সকালে ভর্তি ও অনলাইন ক্লাস সংক্রান্ত ‘ছয় দফা দাবি’ নিয়ে কলাবিভাগের ডিন অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের সঙ্গে আলোচনা করতে যান পড়ুয়ারা। অভিযোগ, ডিন তাঁদের বক্তব্য শুনতে রাজি হননি। পড়ুয়াদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রী নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। কলাবিভাগের এসএফআইয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভায়ন ভট্টাচার্যের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই আলোচনা করতে গিয়েছিলেন পড়ুয়ারা।হঠাৎ মেজাজ হারান ওমপ্রকাশবাবু। পড়ুয়াদের উদ্দেশে কটূক্তি করেন তিনি। ছাত্রীদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে গাড়িতে উঠে পালানোর চেষ্টা করেন। পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, ওমপ্রকাশ হুমকি দেন ‘ছেলে ডাকছি। তোমরা ফেরো। তোমাদের দেখে নেব।’
আরও পড়ুন : ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত্যু গাড়ির মালিকের
একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের এমন আচরণের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। ওমপ্রকাশ মিশ্রকে পাঁচ ঘণ্টা আটক করে রাখা হয়। যদিও ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে ওমপ্রকাশবাবু বলেন, ‘এরা পড়াশোনা করতে চায় না।আমার যা বয়স তাতে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। ক্লাস না করার অছিলা আমি মেনে নেব না।’
আরও পড়ুন : মমতা লড়ুক, আমরাও লড়ব, বিজেপি বিরোধিতার প্রতিযোগিতা হোক: দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
প্রসঙ্গত, বুধবারের ঘটনার সূত্রপাত একটি বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে। করোনা অতিমারীতে কীভাবে পঠনপাঠন শুরু করা যায়, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনিশ্চয়তা ছিল।সম্প্রতি কলা বিভাগ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চালু হবে।কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে, কলাবিভাগ-সহ অন্যান্য বিভাগে অনেক সিটই খালি । সম্পূর্ণ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ না হলে অনলাইন ক্লাস শুরু করা যাবে না এমনটাই দাবি ছিল পড়ুয়াদের। পাশাপাশি, পরীক্ষার ফলাফল-সহ অন্যান্য ছয় দফা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই উপাচার্যের দ্বারস্থ হয়েছিল আন্দোলনকারীরা।
বুধবার সকালে ওম প্রকাশবাবু জানান, ক্লাস চালু হবেই। বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হবে না। আন্দোলনকারীদের দাবি, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের মিটিং না ডেকেই ব্যক্তিগতভাবে ওমপ্রকাশ বাবু এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন যা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক।
এই মুহূর্তে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছে দুই পক্ষ। আন্দোলনকারীদের দাবি, ওমপ্রকাশ বাবুকে ক্ষমা চাইতে হবে।এর অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়।