ফাঁসিয়ে দিতে পারে রাজ্য পুলিস! রাজ্যপালকে বিস্ফোরক চিঠি শুভেন্দুর
তিনি বিধায়ক পদ ত্যাগ করার পর প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করতে পারে কলকাতা বা রাজ্য পুলিস। এমনটা হলে যাতে তৎক্ষণাৎ রাজভবনের হস্তক্ষেপ হয়, এই চিঠির মাধ্যমে বস্তুত সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছেন সদ্য বিধায়ক পদ ত্যাগী এই নেতা।
কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) বিস্ফোরক চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, দলত্যাগের পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত কলকাতা বা রাজ্য পুলিস তাঁকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। আশঙ্কা করছেন তিনি। সেই অবস্থায় যেন হস্তক্ষেপ করেন রাজ্যপাল। এমনটাই আবেদন শুভেন্দুর।
Suvendu Adhikari former minister @MamataOfficial has by way of representation sought my intervention so that police @WBPolice @KolkataPolice and administration are dissuaded from implicating him and associates in criminal cases out of political vendetta.
Taking expected steps. pic.twitter.com/NXwH914Eog
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 16, 2020
চিঠিতে শুভেন্দুর স্পষ্ট দাবি, তিনি বিধায়ক পদ ত্যাগ করার পর প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করতে পারে কলকাতা বা রাজ্য পুলিস। এমনটা হলে যাতে তৎক্ষণাৎ রাজভবনের হস্তক্ষেপ হয়, এই চিঠির মাধ্যমে বস্তুত সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছেন সদ্য বিধায়ক পদ ত্যাগী এই নেতা। শুভেন্দুর দেওয়া চিঠির ছবি টু্ইট করেছেন রাজ্যপাল নিজেই। তিনি ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছেন বলেও লেখেন টুইটে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই চিঠির মাধ্যমে রাজ্য প্রশাসনকে বেজায় চাপের পাশাপাশি অস্বস্তিতেও ফেলেছেন শুভেন্দু। কেননা, তৃণমূল ত্যাগী একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্য ও কলকাতা পুলিসের কম মামলা চলছে না। সেটা মুকুল রায় হোক বা অর্জুন সিং, দলত্যাগী প্রত্যেক নেতারাই অভিযোগ করে এসেছেন, পুলিসের বেশিরভাগ মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। শুভেন্দুর এই চিঠিও তাঁদের প্রতিহিংসার অভিযোগকেই শক্ত করছে।
আরও পড়ুন:
আরও একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তৃণমূলের একাধিক নেতা ও রাজ্য সরকার যখন রাজভবনের চৌহদ্দি এড়িয়ে চলছে, তখন শুভেন্দু বিধায়ক পদ ছাড়ার পরই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর এই চিঠির রাজনৈতিক তাৎপর্যও যে অপরিসীম। বিশেষ করে রাজ্যপালকে দেওয়া এই চিঠি পেয়ে ধনখড় যতটা না প্রস্তুতি নেবেন, তার থেকেও বেশি মেপে এবার রাজ্য ও কলকাতা পুলিসকে পা ফেলতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত এমনটাই।
আরও পড়ুন: