Oman: ‘ওরা বলছে বিক্রি করে দেবে…’, ওমান থেকে কাতর আর্তি ভারতীয় মহিলার

Chhattisgarh woman in Oman: ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার ভিলাইয়ের এক মহিলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাহায্য চাইলেন। ওমানে গিয়েছিলেন রাঁধুনি হিসবে কাজ করতে। সেখানে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। ছাড়ার জন্য চাওয়া হচ্ছে ২-৩ লক্ষ টাকা। নইলে বিক্রি করে দেওযা হবে অন্যত্র।

Oman: 'ওরা বলছে বিক্রি করে দেবে...', ওমান থেকে কাতর আর্তি ভারতীয় মহিলার
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Feb 07, 2024 | 12:07 PM

রায়পুর/মুস্কাট: ‘ওরা বলছে বিক্রি করে দেবে, প্লিজ আমায় বাঁচান স্যার।’ ওমান থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে কাতর আর্তি জানালেন এক ভারতীয় মহিলা। তাঁর বাড়ি আদতে ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার ভিলাইয়ে। ওমানে গিয়েছিলেন রাঁধুনি হিসবে কাজ করতে। তাঁর স্বামীর অভিযোগ, ওই মহিলাকে তাঁর নিয়োগকারীরা বন্দি করে রেখেছে। ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না দিলে ছাড়বে না বলেছে। এই অবস্থায়, স্ত্রীকে মুক্ত করতে তিনি জেলা পুলিশ এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাহায্য চেয়েছেন।

দুর্গ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার, অভিষেক ঝা জানিয়েছেন, যোগী মুকেশ নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেছেন। চুক্তির ভিত্তিতে ওমানে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী দীপিকা। তিনি আরও জানান, এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চাইবেন তাঁরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুকেশ জানিয়েছেন, ভিলাইয়ের খুশিপুরের এক ব্যক্তির মাধ্যমে আবদুল্লা নামে হায়দরাবাদের একর বাসিন্দার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁদের। সে তাদের ওমানে কাজের কথা বলেছিল।

মুকেশ আরও জানিয়েছেন, আবদুল্লা নামের ওই ব্যক্তিই দীপিকাকে কেরল থেকে ওমানে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল। শুধু রান্নার কাজ করতে হবে বলে দীপিকাকে নিয়ে গিয়ে, তাঁকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করানো হত। ৬-৭ মাস এভাবে চলার পর, ইদানিং নানাভাবে তাঁকে হেনস্থা করাও শুরু করেছিল ওমানের ওই নিয়োগকারী। তিনি একজন মহিলা। স্ত্রীয়ের হয়ে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন মুকেশ। সেই সময়ই ওই মহিলা, দীপিকার মুক্তিপণ হিসেবে ২-৩ লক্ষ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ মুকেশের।

প্রদানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়ে, স্ত্রীয়ের একটি ভিডিয়োও পুলিশকে দিয়েছেন মুকেশ। তাতে দেখা যাচ্ছে দীপিক বলছেন, “স্যার আমার নাম দীপিকা। আমি ভিলাইয়ের বাসিন্দা। একজন আমায় মিথ্যা বলে এখানে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি এখানে বন্দি হয়ে আছি। আমায় মারধর করা হচ্ছে, হেনস্থা করা হচ্ছে। আমি বাড়ি যেতে চাইলে, ওরা ২-৩ লক্ষ টাকা চাইছে। ওরা বলছে আমায় অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে দেবে। প্লিজ, আমায় বাঁচান। আমি বিক্রি হতে চাই না। আমি খুব কষ্টে আছি। আমার উপর খুব অত্যাচার করছে ওরা।”