Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বুধবার লন্ডন থেকে উড়েছিল বিমান, ৪২ ঘণ্টা পরও মুম্বই পৌঁছতে পারল না! কোথায় গেলেন ২৫০ যাত্রী?

Passengers Stranded: তাদের অভিযোগ, প্রায় ৩০০ জন যাত্রীর জন্য একটাই বাথরুম বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যেখানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে, সেখানে যাত্রীদের কম্বলও দেওয়া হয়নি।

বুধবার লন্ডন থেকে উড়েছিল বিমান, ৪২ ঘণ্টা পরও মুম্বই পৌঁছতে পারল না! কোথায় গেলেন ২৫০ যাত্রী?
বিমানবন্দরে আটকে যাত্রীরা। Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Apr 04, 2025 | 1:16 PM

আঙ্কারা: সফর ছিল ৯ ঘণ্টার, সেই সময় বাড়তে বাড়তে ৪২ ঘণ্টা পার করে গিয়েছে, তবুও গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেন না ২৫০-রও বেশি যাত্রী! লন্ডন-মুম্বইগামী বিমানে বড় বিপত্তি। বিগত ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তুরস্কের দিয়ারবাকির বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিমান। কখন ছাড়বে, কখন গন্তব্যে পৌঁছবে, উত্তর নেই কারোর কাছে। বিপাকে পড়েছেন ২৫০-রও বেশি যাত্রী, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়।

২ এপ্রিল লন্ডন থেকে মুম্বই আসছিল ভার্জিন আটলান্টিক ৩৫৮ ফ্লাইট। মেডিক্যাল ইমার্জেন্সির জন্য তা তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই সেখানে আটকে যাত্রীরা। এয়ারলাইন্সের তরফে জানানো হয়েছে, তুরস্কের দিয়ারবাকির বিমানবন্দরে অবতরণের পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। বর্তমানে তা পরীক্ষা চলছে। যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য এয়ারলাইন্সের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।

আপাতত বিমানটি তুরস্কের বিমানবন্দরেই দাঁড়িয়ে। আজ দুপুর ১২টা (স্থানীয় সময়) নাগাদ মুম্বইয়ের দিকে রওনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি যান্ত্রিক সমস্যা না মেটে এবং উড়ানের জন্য অ্যাপ্রুভাল না পাওয়া যায়, তবে অন্য বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে যাত্রীদের জন্য অন্য বিমানের ব্যবস্থা করা হবে আগামিকাল। রাতে যাত্রীদের থাকার জন্য হোটেলের ব্যবস্থাও করা হবে এয়ারলাইন্সের তরফে।

এদিকে, ৪০ ঘণ্টারও বেশি বিমানবন্দরে আটকে থেকে চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, প্রায় ৩০০ জন যাত্রীর জন্য একটাই বাথরুম বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যেখানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে, সেখানে যাত্রীদের কম্বলও দেওয়া হয়নি। সিটও না পেয়ে, মাটিতেই বসে অপেক্ষা করছেন। মোটা টাকা খরচ করে তাদের নিজেদেরই খাবারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।