Afghanistan Crisis: আফগানিস্তানের উন্নয়নে টাকা বরাদ্দ করতে আপত্তি আইএমএফ-র
Afghanistan Crisis মসনদে বসার পর চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নব গঠিত তালিবান সরকার। আর্থিক সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে তালিবান উদ্বাস্তু মন্ত্রী খলিলুর হক্কানি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন " এই কথা মানতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই যে এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবে আল্লাহর দোয়াতে ধীরে ধীরে এই কঠিন অবস্থা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।"
কাবুল: যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে (Afghanistan), রাজনৈতিক অস্থিরতাকে হাতিয়ার করে তাঁদের জন্য বরাদ্দ অর্থ দিতে রাজি নয় ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (International Monitory Fund)। আফগানিস্তানকে যাবতীয় অর্থ যোগানের প্রক্রিয়াটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির এক মুখপাত্রের বক্তব্য থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি নিজেদের সদস্য দেশ গুলির জন্য ৬৫০০০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ করে আইএমএফ। বিশেষ প্রয়োজনের বরাদ্দ অর্থ ব্যবহার করতে পারবে সদস্য দেশ গুলি। দীর্ঘমেয়াদি অর্থের প্রয়োজন মেটাতে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে (World Economy) চাঙ্গা করতে সাহায্য করতে এই অর্থ কাজে লাগানো হবে। মোট ৬৫০০০ কোটি মার্কিন ডলারের (US dollar) মধ্যে, যে দেশ গুলি আর্থিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে, সেই সমস্ত দেশের উন্নতি খাতে ২৭০০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহার করা হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আফগানিস্তান এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না। এমনটাই জানা গেছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড সূত্রে।
গত বৃহস্পতিবার, আইএমএফ মুখপাত্র গেরি রাইস সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আফগানিস্তানের যাবতীয় সম্পর্ক আপাতত স্থগিত রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আফগানিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা জারি থাকবে অথবা নতুন আফগান সরকার আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি না পাবে, ততদিন এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে ।
আরও পড়ুন Taliban: চেয়ার ছেড়ে উঠে বরাদরকে এক ঘুষি হাক্কানি নেতার, আদৌ বেঁচে আছেন আখুন্দজাদা?
সাংবাদিকদের রাইস বলেন ” আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। আফগান সরকারকে (Afghanistan government) স্বীকৃতি দেওয়ার এক্তিয়ার আমাদের নেই। তাই আইএমএফ – যাবতীয় পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে আফগানিস্তান আমাদের কোনোকিছুই ব্যবহার করতে পারবে না। ” আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত রাইস জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মহলের সম্মতিক্রমে, ওই দেশের মানবিকতা রক্ষার স্বার্থে কাজ করতে আইএমএফ প্রস্তুত।
গতমাসে আশরাফ গণি (Ashraf Ghani) সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে কাবুলের (Kabul) মসনদে বসার পর চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নব গঠিত তালিবান সরকার। আর্থিক সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে তালিবান উদ্বাস্তু মন্ত্রী খলিলুর হক্কানি (Khalilur Hakkani) এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ” এই কথা মানতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই যে এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবে আল্লাহর দোয়াতে ধীরে ধীরে এই কঠিন অবস্থা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।” অর্থনৈতিক দুর্দশার যাবতীয় দায় আমেরিকার (USA) ওপর চাপিয়ে হক্কানি অভিযোগ করেন আমেরিকার উস্কানিতে দেশের যাবতীয় অর্থের যোগান বন্ধ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, এই রকমভাবে চললে পরের বছরের মধ্যেই আফগানিস্তানে অর্থ ও খাদ্যের সংকট তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খাদ্যের খোঁজে দেশ ব্যাপী বিপুল সংখ্যায় মানুষ কাবুলে আশ্রয় নিতে পারেন। দেশে তৈরি হওয়া আর্থিক অনটনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করা, সদ্য ক্ষমতায় আশা তালিবানের পক্ষে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁরা কিভাবে এই সংকটের সঙ্গে লড়াই করে, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন Vaccine: ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে সুচ ভেঙে ঢুকে গেল শরীরে! প্যারালাইসিস হয়ে মরণাপন্ন যুবক