Taliban: চেয়ার ছেড়ে উঠে বরাদরকে এক ঘুষি হাক্কানি নেতার, আদৌ বেঁচে আছেন আখুন্দজাদা?
Baradar-Haqqani clash: সূত্রের খবর, তালিবানের ক্ষমতার শীর্ষে কে থাকবে? তা নিয়েই তৈরি হয় সংঘাত। আপাতত কাবুল ছেড়ে কান্দাহারে আছেন বরাদর।
কাবুল: এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হল না সরকার। তার আগে আফগানিস্তানের (Afghanistan) মসনদে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চরমে। হাক্কানি আর তালিবানের (Taliban) মধ্যে জাদা ছোড়াছুড়ি নতুন নয়। তবে এবার সংঘাত নাকি একেবারে প্রকাশ্যে। রীতি মতো হাতাহাতি, গোলাগুলির পর্যায়ের পৌঁছেছে বরাদর-হাক্কানির সংঘাত। কার হাতে বেশি ক্ষমতা? এই নিয়েই সম্ভবত সংঘাতের সূত্রপাত। এমনকি কাবুলে প্রেসিডেন্টের ভবনের ভিতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। এমনটাই শোনা যাচ্ছে, তালিব নেতা মোল্লা আব্দুর বরাদর ঘানিকে (Abdul Ghani Baradar) নাকি বন্দি করে রাখা হয়েছে। আর তালিবানের শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা (Hibatullah Akhundzada) আদৌ বেঁচে আছে কি না, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
প্রথম থেকেই তালিবানের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বরাদরের নামই ছিল সবার আগে। আমেরিকার সঙ্গে শান্তি বৈঠকের নেতৃত্বেও ছিলেন এই বরাদর। শোনা যাচ্ছে, তাঁর ওপর নাকি শারীরিক আক্রমণ করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই সেই ঘটনা ঘটে। প্রেসিডেন্টের ভবনে তখন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময়ই নাকি হাতাহাতি চরমে পৌঁছয়।
সূত্রের খবর, সব স্তরের নেতাকে নিয়েই সরকার গঠনের পক্ষপাতি ছিলেন বরাদর। তালিবানের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন সদস্যদের নেওয়ার জন্যও সওয়াল করেছেন বরাদর, যাতে আন্তর্জাতিক স্তরে তালিবান কিছুটা ভাবমূর্তি ফেরাতে পারে। কিন্তু তাতে নাকি সায় নেই হাক্কানি নেতা খলিল উল রহমান হাক্কানি। কথা কাটাকাটি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে একসময়য় চেয়ার ছেড়ে উঠে সোজা বরাদরকে এক ঘুষি মারেন খলিল উল রহমান। সেই হাতাহাতি থামাতে হাজির হয় দু’জনের বডিগার্ড। তারা গোলাগুলি চালাতেও শুরু করে। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়। শোনা যাচ্ছে, ওই ঘটনার পরই নাকি কাবুল ছেড়ে কান্দাহারের দিকে চলে গিয়েছেন বরাদর।
আরও পড়ুন: Amazon Bribery: ঘুষ দিয়েছে আমাজন! কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত না করার কড়া বার্তা কেন্দ্রের
ইতিমধ্যে কান্দাহার থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন বরাদর। তিনি জানিয়েছেন সংঘর্ষে তাঁর আহত হওয়ার খবর ভুয়ো, বন্দিও হয়ে নেই অন্য দিকে তালিবানের শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির দাবি, তিনি সম্ভবত জীবিত নেই। আফগান পর্যবেক্ষকদের দাবি, কাবুল প্রাসাদে গোলমালের সময়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ফইজ হামিদ বরাদরের বিরুদ্ধে হাক্কানিদের সমর্থন করেছেন। আফগান পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বরাদর যে ভাবে ভিডিয়োতে বিবৃতি পাঠ করেছেন তা দেখে মনে হচ্ছে তাঁকে কান্দাহারে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও ক্ষমতা নিয়ে সংঘাত যে চরমে, তা বেশ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: Chinese Army near LAC: পাহাড়চূড়ায় ফের আতঙ্ক! রাতের অন্ধকারে LAC ঘেঁষে মহড়া দিচ্ছে চিন