‘গভীর ষড়যন্ত্র’, দেশকে ‘দেউলিয়া’ করে গদি খোয়াতে চলেছেন মুইজ্জু?
Maldives: সম্প্রতিই শোনা যায়, মলদ্বীপের নাকি ভাঁড়ার শূন্য হয়ে গিয়েছে। খরচ হয়ে গিয়েছে সমস্ত ডলার। আপাতত 'মাইনাসে' রয়েছে দেশের অর্থ ভাণ্ডার। এরপরই রবিবার ব্যাঙ্ক অব মলদ্বীপের তরফে সমস্ত ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে বিদেশি লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মালে: ক্ষমতায় বসার এক বছরের মধ্যেই গদি নিয়ে টানাটানি? গদিচ্যুত হতে চলেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু? এমনটাই আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। তাঁর দাবি, ক্ষমতা থেকে সরাতে আর্থিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যারা এই ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মুইজ্জু। কিন্তু কী এমন হল যে ক্ষমতায় বসার অল্প সময়ের মধ্যেই গদি নিয়ে টানাটানি শুরু হল?
সম্প্রতিই শোনা যায়, মলদ্বীপের নাকি ভাঁড়ার শূন্য হয়ে গিয়েছে। খরচ হয়ে গিয়েছে সমস্ত ডলার। আপাতত ‘মাইনাসে’ রয়েছে দেশের অর্থ ভাণ্ডার। এরপরই রবিবার ব্যাঙ্ক অব মলদ্বীপের তরফে সমস্ত ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে বিদেশি লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিতর্ক-শোরগোল শুরু হতেই, কয়েক ঘণ্টায় সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। মলদ্বীপ মনেটারি অথারিটির নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলেই জানানো হয়।
বিদেশি লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও, মলদ্বীপের মুদ্রা রুফিয়ার বিনিময়ে ডলারের লেনদেন বন্ধ এখনও। ক্রেডিট কার্ডের সীমাও ১০০ ডলারে কমিয় আনা হয়েছে। দেশে আর্থিক সঙ্কট হচ্ছে, এই খবর রটিয়েই দেশে আর্থিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু বলেন যে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতেই তিনি মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ব্যাঙ্কের এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানান তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেন যে তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাঙ্ক।
তিনি প্রশ্ন করেন, কেন সরকারি ব্যাঙ্ক সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেবে? মুইজ্জুর দাবি, নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মানুষ পরিকল্পনা করেই আর্থিক অভ্যুত্থান চালানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত করছে।