ইসলামাবাদ : খুবই চাপে পড়ে গেলেন ইমরান খান। সব ধরনের চেষ্টা সত্ত্বেও হয়ত পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আস্থা ভোট হবে। যদি পাকিস্তানি সময় আজ মধ্যরাতের মধ্যে আস্থা ভোট না হয়, তাহলে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এই আবহে আজকে মধ্যরাতে পাক সুপ্রিম কোর্টের দরজা খুলতে চলেছে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল সুপ্রিম কোর্টের দিকে রওনা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ হাই কোর্টের দরজা খুলে গিয়েছে। অ্যাসেম্বলির সচিবকে উচ্চ আলাদতে তলব করা হয়েছে। এদিকে খোলা হচ্ছে পাক নির্বাচন কমিশনের দফতরও। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া চলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আর এরই মাঝে খবর মিলছে, ইমরান খান সেই ‘গোপন চিঠি’ সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে পারেন যেখানে ‘বিদেশি শক্তি’র হস্তক্ষেপের প্রমাণ রয়েছে।
এদিকে পাক মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরান খানের দফতর খোলা হচ্ছে। তার আগে আজ পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাত হয় ইমরান খানের। এদিকে ইমরানের সরকারের এই টালবাহানায় সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট কড়া অবস্থান গ্রহণ করতে চলেছে। আর এর জেরে অ্যাসেম্বলির সচিবালয়ের কর্মচারীরা ইমরান খান বা তার দলের থেকে নির্বাচিত হওয়া স্পিকারের কোনও নির্দেশও মানছেন না। কারণ তাঁদের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ইমরানের বা স্পিকারের কথা মতো কাজ করলে তাঁদেরকেও শীর্ষ আদালত অবমাননার নোটিশ ধরাতে পারে।
এদিকে পাকিস্তানে বিরোধী নেতাদের অন্যতম মরিয়াম নওয়াজ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে নির্লজ্জ ভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই আবহে অবিলম্বে স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশ দেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীকে। দেশের সবকিছু উড়িয়ে দেওয়ার আগে ইমরান খান, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পীকারকে গ্রেফতারের আদেশ দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের। আমলাতন্ত্র/প্রশাসনের উচিত সরকারের কোনও আদেশ না মানা।’
আরও পড়ুন : Imran Khan : আস্থা ভোট এড়াতে মোক্ষম চাল, ‘সুপার ওভারে’ শেষ চেষ্টা ইমরানের দলের