AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pahalgam Attack: ‘তিন দশক ধরে জঙ্গি চাষ করেছে পাকিস্তান’, অবশেষে ‘দায় স্বীকার’ সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর

Pahalgam Attack: সেখানেই তাঁকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'গত তিন দশক ধরে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ গোটা পশ্চিমের দেশগুলির জন্য এই নোংরা কাজটা করে চলেছি।'

Pahalgam Attack: 'তিন দশক ধরে জঙ্গি চাষ করেছে পাকিস্তান', অবশেষে 'দায় স্বীকার' সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীImage Credit: Getty Image
| Updated on: Apr 25, 2025 | 1:35 PM
Share

ইসলামাবাদ: অবশেষে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার দায় স্বীকার করল পাকিস্তান। কিন্তু নিজেদের দিকে সম্পূর্ণ ‘দোষ’ টেনে নিল না তারা। গোটা অভিযোগে জুড়ে দিল আমেরিকার নামও। শুক্রবার ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারপর্বে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ।

সেখানেই তাঁকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গত তিন দশক ধরে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ গোটা পশ্চিমের দেশগুলির জন্য এই নোংরা কাজটা করে চলেছি।’ এরপরেই তাদের এই কাজকে ‘ভুল’ বলে আখ্যান দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গোটা বিশ্বের প্রতিটি দেশের মধ্যে পাকিস্তান এমন একটি রাষ্ট্র যারা সন্ত্রাস হামলায় সব থেকে বেশি ভুগেছে। আমরা যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যোগ না দিতাম, তাহলে আজ পাকিস্তান অন্য উচ্চতায় থাকত।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে হওয়া সন্ত্রাস হামলায় ইতিমধ্যে প্রাণ গিয়েছে ২৮ জন পর্যটকের। আহতও বেশ কয়েকজন। এই ঘটনার নেপথ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ আপাতত স্থগিত করেছে ভারত। তবে এই অভিযোগ কিন্তু কোনও ভাবেই মানতে চায়নি পাক-প্রশাসন। তাদের বিদেশমন্ত্রী ইশক দার-এর দাবি, ‘যদি ভারতের কাছে ওই হামলার ভিত্তিতে সত্যিই কোনও প্রমাণ থাকে, তবে ওটা তারা পেশ করুক।’

এবার সেই একই প্রশ্ন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ছোড়া হলে, দায় সম্পূর্ণভাবে স্বীকার না করলেও একটা সময় পর্যন্ত যে পাকিস্তান দেশের অন্দরে ‘জঙ্গি চাষ’ করেছে বলেই মেনে নেন তিনি। যখন লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন গোটা হামলায় নিজেদের দায় স্বীকার করে, সেই আবহে পাক-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘বর্তমানে দেশের অন্দরে লস্কর-ই-তৈবা বলে কিছু নেই। ওরা অতীত।’