কিয়েভ: ৬৪ দিন পার হয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের (Russia-Ukraine War)। দফায় দফায় আলোচনার পর কিছুটা পিছু হটেছিল রুশ সেনা। কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহে ফের একবার পুরনো রূপ ধরেছে রাশিয়ার বাহিনী। একে একে দখল করছে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি। গত সপ্তাহেই মারিউপোল(Mariupol)-কে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছিল রুশ সেনা। এবার দখল করে নেওয়া হল খেরসন(Kherson)। জানা গিয়েছে, গত সোমবার ইউক্রেনের দক্ষিণে অবস্থিত খেরসন শহর দখল করে নেয় রুশ সেনা। সেখানের সিটি কাউন্সিল থেকে ইউক্রেনের পতাকা সরিয়ে ফেলে রুশ পতাকা লাগানো হয়েছে। বুধবার শহরের বাসিন্দারা মিছিল বের করলে, তাদের উপরে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা ইউক্রেনের দক্ষিণ অঞ্চল দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়ার বাহিনী। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল জানান, খেরসন দখল করে নিয়েছে রুশ সেনা। খেরসন সিটি কাউন্সিল থেকে ইউক্রেনের পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নতুন মেয়রও নিয়োগ করা হয়েছে। খেরসনের মিলিটারি বাহিনীর তরফেও জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র খেরসন অঞ্চলের জন্য় রাশিয়ার মিলিটারি বাহিনী একজন নতুন প্রধানকে নিয়োগ করেছে।
গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ওলেক্সান্ডার মোটিজ়্যয়ানাক জানিয়েছিলেন যে রাশিয়া গণভোট করার পরিকল্পনা করছে খেরসনকে নিজেদের দেশের অংশ বানানোর জন্য়। তবে সপ্তাহ পার হতে না হতেই, গণভোটের বদলে শক্তির জোরে গোটা শহরেই নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করেছে রুশ সেনা।
সোমবার বিকেলেই সিটি কাউন্সিলে জোর করে ঢুকে পড়ে সেনাবাহিনী। সেখান থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে, রাশিয়ার পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিটি কাউন্সিলের এক কর্মচারী জানান, নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে জোর করে চাবি কেড়ে নিয়ে তারা কাউন্সিলের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তবে শহরের মেয়র ও কর্মচারীদের নিরাপদভাবে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিটি কাউন্সিলের যাবতীয় নথি ঘেঁটে কাজের সময় ও কর্মপদ্ধতি বোঝার চেষ্টা করছে রুশ সেনা, এমনটাও জানিয়েছেন কর্মচারীরা। মঙ্গলবার থেকে রুশ সেনার নিয়োগ করা নতুন মেয়রের অধীনে শহরের কাজকর্ম শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।