মস্কো: যেকোনও মুহূর্তেই শুরু হতে পারে যুদ্ধ। ইউক্রেন (Ukraine) ও রাশিয়া(Russia)-র দ্বন্দ্ব ক্রমেই যুদ্ধ পরিস্থিতির রূপ নিচ্ছে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে মঙ্গলবারই খবর মেলে, ধীরে ধীরে সেই সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে পুতিনের সরকার। সামান্য সেনা প্রত্যাহারের পরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) মঙ্গলবার জানান, তিনি চান না ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হোক।
মঙ্গলবার জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ়ের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, “আমরা চাই না ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হোক। যে সংঘাত তৈরি হয়েছে, তা পাশ্চাত্যের দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। আমরাও সেটাই চাই।”
আমেরিকা ও ন্যাটোর সদস্যদের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি মস্কো, এমনটাই জানান পুতিন। ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে যে আংশিক সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেই খবরও স্বীকার করে নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি। আমরা আলোচনার পথেই চলতে চাই।”
ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর এই প্রথম যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্তের কাছেই বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যে কোনও মুহূর্তেই যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পশ্চিমী দেশগুলি। মধ্যস্থতা করতে ময়দানে নেমেছে আমেরিকাও। গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোন করেছিলেন পুতিনকে। কিন্তু সেই ফোনালাপে সদর্থক কোনও বার্তা মেলেনি রাশিয়ার তরফে, এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। রাশিয়া এরপর শক্তি প্রদর্শন করলে আমেরিকা ও বন্ধু দেশগুলি ইউক্রেনকেই সহায়তা করবে বলে জানানো হয়। অন্যদিকে বেজিং রাশিয়ার পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছে।
এদিন সকালেই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়, মস্কোর সেনাবাহিনী যে সামরিক ড্রিল চালাচ্ছিল, তা শেষ হয়েছে। রাশিয়ান সেনারা নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “পশ্চিম মিলিটারি জেলার সামরিক অনুশীলন শেষ হয়েছে। তারা নিজেদের স্থায়ী ঘাঁটির কাছে ফিরে আসছে।”
ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও সেনা প্রত্যাহারের ভিডিয়ো দেখানো হয়। সামরিক যানবাহন থেকে শুরু করে যুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাঙ্কার সারিবদ্ধ হয়ে রাশিয়ান ঘাঁটির দিকে ফিরে যেতে দেখা যায়। রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার শুরু করলেও, ইউক্রেনবাসীর মধ্যে থেকে এখনও আতঙ্ক কাটেনি। এদিন সকালেও বিভিন্ন বিমানে করে ইউক্রেনবাসীদের দেশ ছাড়তে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: Ukraine-Russia Conflict: সীমান্ত থেকে ফিরছে রুশ সেনা! অস্থিরতার মধ্যেই দাবি মস্কোর
আরও পড়ুন: Canada Truckers Agitation: হার মানতে রাজি নয় ট্রুডো প্রশাসন, কানাডা জুড়ে জারি ‘জরুরি অবস্থা’