দুর্বল হয়েছে কি মারণ ভাইরাস! বেড়েছে টেস্ট, তবু ৪ মাসে সর্বনিম্ন করোনা আক্রান্ত দেশে

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩৫ জন। যার বেশির ভাগটাই হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যের ঘটনা।

দুর্বল হয়েছে কি মারণ ভাইরাস! বেড়েছে টেস্ট, তবু ৪ মাসে সর্বনিম্ন করোনা আক্রান্ত দেশে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Nov 16, 2020 | 7:34 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে মোট করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৪৮ জন। যা ৪ মাসে সর্বনিম্ন। তাহলে কি করোনা প্রতিরোধে সক্ষম হচ্ছে দেশ! ভারতে শেষ করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৩০ হাজারের নীচে নেমেছিল ১৫ জুলাই। সেদিন মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৯ হাজার ৪২৯ জন। একদিন আগেও দেশে দৈনিক করোনার আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৪১ হাজারের বেশি। যা এক ধাপে ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়াল ২৯ হাজার ৪২৯।

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের, যাদের মধ্যে ইতিবাচক ফল এসেছে মাত্র ৩০ হাজার ৫৪৮ জনের। তাহলে কি উৎসবের মরসুমেও রোখা গেল সংক্রমণ! দেশে এর আগে প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা হচ্ছিল ৮ লক্ষ মানুষের। গতকাল সেই সংখ্য়া বেড়ে ৮ লক্ষ ৬০ হাজার হয়েছে। তারপরেও পজেটিভিটি হার কমে হয়েছে মাত্র ৩.৫ শতাংশ।

COVID-19

ফাইল চিত্র

তবে সমগ্র দেশের বিচারে করোনা সংক্রমণের গতি আটকানো সম্ভব হলেও কিছু কিছু রাজ্যে হু হু করে ছড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস। দিল্লিতে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। তারপরেও কমছে না দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। তাই তড়িঘড়ি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তর হদিশ মিলেছে কেরল থেকে। সে রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮১ জন। দ্বিতীয় স্থানেই দিল্লি, সেখানে একদিনে আক্রান্তর সংখ্যা ৩ হাজার ২৩৫। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৩ জন।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ হলেও, উপমুখ্যমন্ত্রী পদে মোক্ষম চাল বিজেপির

সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। ইউরোপের দেশগুলি ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে। কিন্তু ভারতের মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা কমলেও কয়েকটি রাজ্যের অবস্থা শোচনীয়। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩৫ জন। যার বেশির ভাগটাই হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যের ঘটনা। তবে ৩০ হাজার ৫৪৮ জন আক্রান্ত হলেও একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫১ জন। যার ফলে সক্রিয় আক্রান্ত সংখ্যা কমে হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৭৮। যেখানে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৮৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ১২৭। আর সুস্থ হয়ে এ পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন ৮২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৭৯ জন। মোট প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭০ জন।