নয়াদিল্লি: আর কয়েকদিন পরই বিয়ের মরশুম শুরু হবে। আগামী ১২ নভেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিয়ের তারিখ রয়েছে। দেশজুড়ে এই সময়ের মধ্যে ৪৮ লক্ষ বিয়ের আসর বসবে। তা থেকে ৬ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে ধারণা। গত বছর এই সময়ে ৩৫ লক্ষ বিয়ের আসর বসেছিল। তাতে বাণিজ্য হয়েছিল ৪.২৫ লক্ষ কোটি টাকার। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স(সিএআইটি) এই তথ্য জানিয়েছে। গতবছর এই সময়কালে ১১টি বিয়ের দিন পড়েছিল। এ বছর ১৮টি বিয়ের দিন রয়েছে এই একমাসে। আর এই কয়েকদিনে শুধু দিল্লিতেই প্রায় সাড়ে চার লক্ষ বিয়ের আসর বসবে। আশা করা হচ্ছে, দেড় লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।
সিএআইটি-র বেদ ও আধ্যাত্মিক কমিটির আহ্বায়ক আচার্য দুর্গেশ তারে জানিয়েছেন, এবছর এই এক মাস ৪ দিনে ১৮টি বিয়ের তারিখ রয়েছে। নভেম্বরের ১২, ১৩, ১৭, ১৮, ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৮ এবং ২৯ তারিখ বিয়ের জন্য শুভ দিন। আর ডিসেম্বরে যে বিয়ের তারিখগুলি রয়েছে, সেগুলি হল ৪, ৫, ৯, ১০, ১১, ১৪, ১৫ এবং ১৬। এরপর প্রায় একমাস আর বিয়ের কোনও তারিখ নেই। ২০২৫ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চ পর্যন্ত ফের বিয়ের তারিখ রয়েছে।
সিএআইটি-র মহাসচিব প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন, “গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এখন বিয়ের জন্য মানুষ বিদেশি পণ্য ছেড়ে দেশীয় জিনিস কেনার দিকে ঝুঁকেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভোকাল ফর লোকাল’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-র সফলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”
সিএআইটি জানিয়েছে, ৪৮ লক্ষ বিয়ের মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ বিয়েতে গড় খরচ ৩ লক্ষ টাকার মতো হতে পারে। গড়ে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে ১০ লক্ষ বিয়েতে। ১০ লক্ষ বিয়েতে গড়ে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। গড়ে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে ১০ লক্ষ বিয়েতে। ৭ লক্ষ বিয়েতে গড়ে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। ৫০ হাজার বিয়েতে গড়ে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আর গড়ে ১ কোটি কিংবা তার বেশি খরচ হতে পারে ৫০ হাজার বিয়েতে।
বিয়ের খরচের মধ্যে শাড়ি, লেহঙ্গা এবং পোশাকের জন্য প্রায় ১০ শতাংশ খরচ হয়। গয়নাতে খরচ হয় ১৫ শতাংশ। ফোটোগ্রাফি এবং ভিডিয়োগ্রাফির জন্য ২ শতাংশ এখন খরচ হয় বিয়েতে। অর্কেস্ট্রা এবং মিউজিকের জন্য গড়ে ৩ শতাংশ খরচ হয়। গাড়ির জন্য খরচ হয় ৩ শতাংশ। ভেন্যু, বিয়েবাড়ি, হোটেলের জন্য খরচ হয় ৫ শতাংশ।