বাজেটে টান পড়ল নাকি? নিজের বিয়ের লেহেঙ্গাই অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে পরলেন অম্বানীর বড় বউ!
Anant Ambani-Radhika Marchent: ২০১৯ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন আকাশ অম্বানী ও শ্লোকা মেহতা। আবু জানি সন্দীপ খোসলার ডিজাইন করা লাল-গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা পরেছিলেন শ্লোকা। সেই লেহেঙ্গাই আবার দেওর অনন্ত অম্বানীর বিয়েতেও সেই লেহেঙ্গাই পরলেন।

মুম্বই: বড় বড় সেলিব্রেটিরা নাকি এক পোশাক দু’বার পরেন না! রি-ইউজ বা পুনর্ব্যবহারে বিশ্বাসী নন তাঁরা। এক জামায় দু’বার দেখা গেলে, অনেকেই চোখ খাটো করে দেখেন। ভাবেন, এই তারকা বুঝি গরিব হয়ে গেলেন! তবে এই ধারণা যে ভুল, তা প্রমাণ করে দিলেন অম্বানীর পুত্রবধূ। না রাধিকা নয়, কথা হচ্ছে অম্বানী পরিবারের বড় বউ শ্লোকা মেহতার। অনন্ত অম্বানী-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে নিজের বিয়ের লেহেঙ্গাই পরলেন শ্লোকা।
২০১৯ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন আকাশ অম্বানী ও শ্লোকা মেহতা। আবু জানি সন্দীপ খোসলার ডিজাইন করা লাল-গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা পরেছিলেন শ্লোকা। সেই লেহেঙ্গাই আবার দেওর অনন্ত অম্বানীর বিয়েতেও সেই লেহেঙ্গাই পরলেন।
হাতে বোনা জরি, জারদৌসি জালি দিয়ে তৈরি লেহেঙ্গার মধ্যে ৫০ হাজার ক্রিস্টাল সিকুইন ও কাচের পুঁতির কাজ ছিল। রয়্যাল এমবেলিসড ব্লাউজ ও ফ্লোরাল মোটিফের কাজ করা ওড়না নিয়েছিলেন শ্লোকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্লোকা মেহতার লেহেঙ্গার দাম ছিল ৫ কোটি টাকা।
বিয়েতে শ্লোকা সোনা ও হিরের একটি রানি হার পরেছিলেন। এর দাম ছিল ৩ কোটি টাকা। এছাড়া হিরে ও পান্নার কাজ করা গলা জোড়া হার পরেছিলেন। সব মিলিয়ে বিয়েতে প্রায় ১০ কোটি টাকার গহনা পরেছিলেন শ্লোকা মেহতা।

আকাশ-শ্লোকার বিয়ের ছবি।
অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে একই লেহেঙ্গা পরলেও, লুকসে কিছু বদল আনা হয়েছে। এবার আর ভারি গহনা পরেননি শ্লোকা, বড় হিরে বসানো গলা ভরাট হার পরেছিলেন শ্লোকা মেহতা। কানে হিরের ইয়ারকাফ, মাথায় হিরের টিকলি পরেছিলেন। বিয়ের লেহেঙ্গার সঙ্গে গোলাপী রঙের হালকা টোনের ওড়না নিয়েছিলেন অম্বানী পরিবারের বড় বউ।
শ্লোকা মেহতার এই লুকের প্রশংসা করেছেন করিনা কাপুর খান ও ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তা। করিনা কাপুর খান লেখেন, “শ্লোকা সবসময় খুবই সুন্দর ও মার্জিত লাগে।”
View this post on Instagram





