কলকাতা: চাকরি জীবন শেষে বার্ধক্যে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকেই। তাই চাকরি জীবনের শুরু থেকেই জোর দেন বিনিয়োগে। বর্তমানে একাধিক শেয়ার বাজার থেকে মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিট সব ক্ষেত্রেই বাড়ছে বিনিয়োগের পরিমাণ। সবথেকে বেশি লোক এখনও পর্যন্ত ফিক্সড ডিপোজিটের পথেই হাঁটেন। কিন্তু, বাজারে এমন অনেক স্কিম রয়েছে যেগুলিতে বিনিয়োগ করলে অবসর জীবনে ঘরে আসতে পারে মোটা টাকা।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম
সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম আদপে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি সরকারি প্রকল্প। আপনি এই স্কিমে মোট ৫ বছরের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিমে বিনিয়োগ করলে ৮.২ শতাংশের কাছাকাছি সুদ পাওয়া যায়। এই স্কিমে আবার আয়করের ধারা 80C এর অধীনে দেড় লক্ষ টাকার বিনিয়োগে কর ছাড় পাওয়া যায়।
অটল পেনশন যোজনা
১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী নাগরিকরা এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন। এরপরে, ৬০ বছর হয়ে গেলে এই স্কিম থেকে আপনি এক হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। তবে সেই অঙ্কটা নির্ভর করছে আপনি ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে কত বিনিয়োগ করবে তার উপর।
পোস্ট অফিসের মাসিক স্কিম
পোস্ট অফিসে মাসিক পেনশন স্কিমে কেউ পাঁচ বছরের জন্য টাকা রেখে পেনশন পেতে পারেন। এই স্কিমে বিনিয়োগ করা অর্থের উপর ৭.৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ মেলে। এই স্কিমে সর্বনিম্ন ৯ লক্ষ ও সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫৫৫০ টাকা পর্যন্ত মাসিক পেনশন পেতে পারেন। যেখানে পাঁচ বছরের জন্য যৌথ অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ৯,২৫০ টাকা প্রতি মাসে পাওয়া যেতে পারে।
মিউচুয়াল ফান্ড
হাঁটতে পারে মিউচুয়াল ফান্ডের রাস্তাতেও। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের (SWP) মাধ্যমেও মাসিক টাকা দিয়ে থাকে। যদি একজন ব্যক্তি SWP-এ বিনিয়োগ করেন, তাহলে এই তহবিল আপনাকে একটি নির্দিষ্ট মাসিক পেনশন দেয়।