
কলকাতা: এপ্রিলেই হাঁসফাঁস অবস্থা। বাংলাজুড়ে তপ্ত গরমের জেরে নাজেহাল বাঙালি। বাড়ির বাইরে পা রাখলেই মনে হচ্ছে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার দশা। এয়ার কন্ডিশনার ছাড়া থাকা দায়। কিন্তু বাড়িতে সদস্য সংখ্যা বেশি হলে একটা এসি দিয়ে কাজ চলে না। প্রতি ঘরেই লাগাতে হয় একটা করে এসি, যা আবার বাজেটেরও অনেকটা বাইরে বেরিয়ে যায়।
এই সময়ই খেয়াল আসে শপিং মল বা যে কোনও অফিসের কথা। যেখানেই যাবেন, সেখানেই এসির হাওয়া। কোন জাদুবলে হয় এটা? সাধারণ ভাবেই কোনও বড় জায়গাকে বাতানুকূল করতে সাধারণ এয়ার কন্ডিশনারের পরিবর্তে ব্যবহারে হয় সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার বা সেন্ট্রাল এসি। যার গোটা মেশিনটা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে। তারপর পাইপের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে তা শীতল হাওয়া পৌঁছে দেয়।
কিন্তু এই সেন্ট্রাল এসি কি বাড়িতে লাগানো সম্ভব?
বাড়ি বা ফ্ল্য়াটে কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে সেন্ট্রাল এসি লাগানো সম্ভব। কিন্তু বাড়ি বা ফ্ল্যাটের আকার ছোট হলে, এটা লাগানো মানে টাকা নষ্ট। মূলত, একটা বড় পরিসর ছাড়া এই বিশেষ এসি লাগানোও সম্ভব নয়।
ফ্ল্যাট বা বাড়িতে সেন্ট্রাল এসি লাগাতে কত খরচ হবে?
প্রতিটি বাড়িতেই পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে সেন্ট্রাল এসি লাগানো সম্ভব। যদি আপনার একটি ৩ বিএইচকে-র বাড়ি বা ফ্ল্যাট থাকে। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮০০ স্কোয়ার ফুটের মতো। সেই ক্ষেত্রে নিম্নতম ৫ থেকে ৬ টনের একটি এসি প্রয়োজন হবে। কিন্তু এটাতে খরচ কত হবে? একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই ৫ থেকে ৬ টনের এসির দাম পড়বে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। ডাক্টিং ও সেই এসি লাগাতে খরচ পড়বে দেড় লক্ষ টাকা। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে ৫০ হাজার টাকা। মোট খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। যাতে শুধুই ঘরই নয়, রান্নাঘর, বাথরুম, আপনার বাড়ি বা ফ্ল্যাটের সর্বত্র পৌঁছে যাবে এসির হাওয়া।