
নয়াদিল্লি: আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা করল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অনিল অম্বানি ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ ‘প্রতারণা’ মামলায় বড় মোড়। শুক্রবার কলকাতা ও ভুবনেশ্বরের একাধিক জায়গায় অভিযান। দিন পেরতেই প্রথম গ্রেফতারিটা করেই নিল ইডি।
শনিবার বিশ্বাল ট্রেডলিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পার্থসারথি বিশ্বালকে আর্থিক তছরুপের মামলায় হেফাজতে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। গতকালই কলকাতা ও ভুবনেশ্বরে স্থিত বিটিপিএল-এর অফিস-কাছারিতে অভিযান চালায় ইডি। এবার দিন পেরতেই গ্রেফতার করে সেই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে।
কিন্তু ওই অভিযানে এই সংস্থার বিরুদ্ধে কী এমন পেলেন ইডি আধিকারিকরা? আর অনিল অম্বানির হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ কারচুপিতে এই সংস্থার নামই বা কীভাবে জুড়ে গেল? এসবিআই-র অভিযোগের পর দিল্লি পুলিশের ইকনমিক অফেন্স উইং বিটিপিএল-এর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে। অনিল অম্বানি যে ঋণ নিয়েছিলেন তাতেই ভুয়ো ব্য়াঙ্ক গারান্টি প্রদান করেছিল এই সংস্থা। সেই সূত্র ধরেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইডি সূত্রে খবর, রিলায়েন্সের থেকে সেই ভুয়ো নথির বিনিময়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা পেয়েছিল এই সংস্থা। এমনকি, SBI অনিল অম্বানির সংস্থার যে ‘প্রতারণার’ কথা বলেছিল তাতেই পৌঁছনোর জন্য ইডির কাছে অন্যতম ‘কানেকশন’ বিটিপিএল। ইতিমধ্য়ে পার্থসারথিকে বিশেষ আদালতে হাজির করায় ইডি। সেখানেই বিচারক বুধবার পর্যন্ত তাকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।