
নয়াদিল্লি: দিন পেরলেই বাজেট পেশ। আর তার আগে দেশের আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই দেশের গত অর্থবর্ষের খতিয়ান সামনে আনলেন তিনি। কী রয়েছে সেই সমীক্ষায়?
আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ থেকে ২০২৬ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি আগের তুলনায় আরও একটু শ্লথ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গত অর্থবর্ষে জিডিপি বা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার ছিল প্রায় ৬.৮ শতাংশ। কিন্তু আসন্ন অর্থবর্ষে সেই হার আরও কমে ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে ঘোরা ফেরা করতে পারে বলে মত অর্থমন্ত্রীর।
তবে অন্ধকারের মধ্যেও এক টুকরো আলোর হদিশ দিলেন অর্থমন্ত্রী। সবজি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে বলেই মত তাঁর।
উল্লেখ্য, শনিবার সংসদে দেশের বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নিজের মন্ত্রীত্ব জীবনের অষ্টম বাজেটটি আগামিকাল সংসদে পেশ করতে চলেছেন তিনি। আর সেই ঘিরেই তুঙ্গে সাধারণের প্রত্যাশা। সূত্রের খবর, চলতি বাজেটে আয়কর স্ল্যাবে পরিবর্তন আনতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তবে এই বাজেট পেশের আগে আরও একটি কাজ থাকে অর্থমন্ত্রীদের। তা হল ইকোনমিক সার্ভে রিপোর্ট বা আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ। মূলত, গত অর্থবর্ষে কী হল, কী হল না, আর আসন্ন অর্থবর্ষে কতটা হতে পারে, এই সব বিষয়গুলিকেই তুলে ধরা হয় এই রিপোর্টে।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তিগুলি আগের তুলনায় যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে। অর্থবর্ষের প্রথম দিকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা যে আপাতত অনেকটাই স্থিতিশীল, সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দাবি, বাজারে খরিফ শস্যের আগমনের সঙ্গেই সবজি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি আরও কমবে।
বিশ্ব বাজারে ভারতের বাণিজ্য পরিস্থিতি যে নিজের ভারসাম্য বজায় রেখেছে সেই বিষয়টিও প্রকাশ পেয়েছে এই রিপোর্টে। তবে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে এখনও যে আরও অনেকটা উন্নতি দরকার ভারতের, সেটিও স্বীকার করে নেয় কেন্দ্র। পাশাপাশি, ডলারের সামনে ভারতীয় মুদ্রার পতনের অন্যতম কারণ হিসাবে আমেরিকার নির্বাচন ঘিরে বিশ্ব বাজারে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তার দিকেই দায় ঠেলেছে কেন্দ্র।