Onion Export Duty Scraps: আর ‘কাঁদাবে না’ পেঁয়াজ, পয়লা এপ্রিল থেকেই ছিঁড়ে যাচ্ছে এই ‘সরকারি বাঁধন’
Onion Export Duty Scraps: এই প্রসঙ্গে শনিবার উপভোক্তা মন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, 'এই পদক্ষেপ মানুষের কাছে আবারও স্পষ্ট করেছে যে কীভাবে সরকার দেশের কৃষকদের দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পালন করে।'

নয়াদিল্লি: আর কাঁদাবে না পেঁয়াজ। শনিবারের বারবেলায় বড় পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের। দেড় বছর পর সমস্ত জরুরি ভোগ্যপণ্য় রফতানিতে চাপানো বাঁধ হটিয়ে দিল তারা। পাশাপাশি, রফতানি শুল্ক মুক্ত হল পেঁয়াজও।
এতদিন পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে বাড়তি ২০ শতাংশ শুল্ক চাপাত কেন্দ্র। মূলত, দেশের অন্দরে পেঁয়াজের বাড়ন্ত দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও সরবরাহ বজায় রাখতেই রফতানিতে এই বাড়তি শুল্ক চাপানো হয়েছিল সরকার তরফে। কিন্তু আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে পেঁয়াজকে সেই বাঁধন থেকে মুক্ত করল নয়াদিল্লি।
এই প্রসঙ্গে শনিবার উপভোক্তা মন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপ মানুষের কাছে আবারও স্পষ্ট করেছে যে কীভাবে সরকার দেশের কৃষকদের দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পালন করে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে একদিকে যখন পেঁয়াজের উপর ন্য়ূনতম রফতানি মূল্য চাপানো হয় সরকার তরফে। তার পাশাপাশি, বাড়তি ২০ শতাংশ রফতানি করও চাপায় তারা। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়, পাঁচ মাস পর্যন্ত মেয়াদ হবে এই শুল্কের। কিন্তু সময় পেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে মেয়াদ। যা ঘিরে ক্ষোভ চড়ে কৃষক ও পেঁয়াজ বিক্রেতাদের মধ্যে।
এই রফতানি শুল্ক হটাতে সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামেন মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। রাজ্যের চাষিদের মধ্যে বাড়তে থাকা ক্ষোভ দমনে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লেখেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও। আর তারপরেই মুছে গেল শুল্ক-নীতি। তবে হঠাৎ করে বিশ্ববাজারে পেঁয়াজ রফতানিতে এমন বাধানিষেধ তুলে দেওয়ায় চাপ পড়বে না তো দেশের অন্দরে? প্রতিবছরই এই সময় থেকে আকাশছোঁয়া দরে পৌঁছে যায় পেঁয়াজ। তার মধ্য়েই এমন নীতিতে নতুন করে কি চাপে পড়তে চলেছে দেশবাসী? উপভোক্তা মন্ত্রক তরফে জানা গিয়েছে, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এই বছর পেঁয়াজের দামে ৩৯ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে, একই ভাবে ১০ শতাংশ দর পড়েছে পাইকারি দামেও। তাই বলা যেতে পারে, এই সিদ্ধান্তে আপাতত খুব একটা চাপে পড়বে না দেশবাসী।





