
নয়াদিল্লি: উৎসবের আবহে জিএসটি কাঠামোর ‘শাপমোচন’ করেছে কেন্দ্র। সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে নতুন কাঠামো। তারপরই ২২ সেপ্টেম্বর ‘জিএসটি বাচাত উৎসব’ নামে এক প্রকল্পকে কার্যকর করেন মোদী। এরপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। জিএসটি কি টাকা বাঁচাল সাধারণের খরচ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, রাজ্যগুলির ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে। কিন্তু মানুষের স্বার্থে তাই সই।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, নতুন জিএসটি কাঠামো যে সাধারণের ট্যাঁকের কড়ি ট্য়াঁকেই রেখেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে হস্তশিল্প সেক্টরকেও দিয়েছে বাড়তি ছাড়। আগের তুলনায় আরও বেশি সাশ্রয় করছে তাঁরা। কিন্তু কীভাবে? একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন কাঠামোয় হস্তশিল্পের পণ্য মিলেছে ছাড়, কমেছে কর। মাথার উপর স্বস্তির আকাশ দেখছেন নির্মাতা, ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা।
পূর্বে কাঠ, পাথর এবং যে কোনও প্রকারের ধাতু দিয়ে তৈরি মূর্তির উপর ১২ শতাংশ জিএসটি নিত কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সংস্কারের পর এক ধাপ পড়েছে জিএসটি-র পরিমাণ। নতুন কাঠামোয় মোট ৫ শতাংশ পণ্য-কর নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। অবশ্য, শুধুই মূর্তি নয়। জিএসটি কাঠামোয় ছাড় পেয়েছে হাতে তৈরি মোমবাতি, আঁকা, মাটির তৈরি সামগ্রী এবং টেরাকোটার তৈরি সামগ্রীও। বলে রাখা প্রয়োজন, এই সামগ্রীগুলি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অন্তর্গত। বরাবরই এই শিল্পে নানা ছাড় দিয়ে থাকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। সেই ছাড়ের জোরেই অনেকাংশে টিকে থাকে এই শিল্পগুলি। এরই মধ্য়ে জিএসটি ছাড়কে বাড়তি স্বস্তি বলেই মনে করছেন একাংশ।
প্রসঙ্গত, জিএসটি-র নয়া কাঠামো কার্যকরের জন্য উৎসবের মরসুমের সূচনা-লগ্নকেই বেছে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এই উৎসব হবে সাশ্রয়ের’। এছাড়াও কলকাতায় এসে এই দাবিকে আরও এক ধাপ উপরে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ‘বাংলার উৎসবের কথা মাথায় রেখেই নতুন জিএসটি কাঠামো কার্যকর করা হয়েছে।’